ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো, কোন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এর ক্যালসিয়াম ঔষধ অধিক বেশি কার্যকরী! অনেকেই জানতে ইচ্ছুক এ সম্পর্কে। তাই আজ আমরা সে সম্পর্কেই জানাবো আপনাদেরকে।
পাঠক বন্ধুরা আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। তাহলে আসুন আজকের আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম, কোন ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর দাম কত এবং ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম ও এ সম্পর্কিত আরো খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে এ টু জেড।
(toc) #title=(পোষ্ট সূচিপত্র)
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট নিয়ে সংক্ষিপ্ত কথা
একেকটি ওষুধের একেক কার্যকারিতা থেকে থাকে। তাই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো এটা জানার পূর্বে আপনাকে প্রথমত জানতে হবে মূলত কোন কোন ক্যালসিয়াম ঔষধ গুলো চিকিৎসকরা আমাদেরকে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
অতএব ক্যালসিয়াম ঔষধ গুলোর নাম। পরবর্তীতে জানতে হবে সেইসকল ওষুধের কার্যকারিতা ও উপকারিতা সম্পর্কে। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা ধারাবাহিকভাবে ক্যালসিয়াম ওষুধের নাম, ক্যালসিয়াম ওষুধ এর কাজ, ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা, ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয় এবং ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করব।
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট হিসেবে বেশ কিছু ঔষধ রয়েছে। যেগুলি বিভিন্ন প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলি তৈরি করে আর আলাদা আলাদা নামে পরিচিত। নিম্নে উল্লেখ করা প্রত্যেকটি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
- Calcium Carbonate Tablet
- Calcium Citrate Tablet
- Calcium Lactate Tablet
- Calcium Gluconate Tablet
এছাড়াও খুবই পরিচিত কিছু ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট ওষুধের নাম হচ্ছে–
- Algecal D
- A-Cal D
- Aristocal D
- Biocal-D
- Calex
- Caldical D
- Calbo D
- Calbon D
- Calcin D
- coralcal-dx
- Coralbest-D
- Coralbest-DX
- Calbostar
- Caldil-Plus
- Kalcoral D
- Ostocal D
- Ostocal DX
- Rocal-D
- Rocal-D Vita
- Starcal D
সেরা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট: কোনটি আপনার জন্য সঠিক?
বাংলাদেশের বাজারে অনেক ধরণের ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট পাওয়া যায়। আপনার জন্য কোনটি সবচেয়ে ভালো তা নির্ভর করে আপনার বয়স, লিঙ্গ, স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং খাদ্যাভ্যাসের উপর।
কিছু জনপ্রিয় ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট হল:
1. Algecal D Tablet
ক্যালসিয়াম কার্বনেট [এলজি সোর্স] +ভিটামিন ডি৩ গ্রুপের একটি ঔষধ এ্যালজিক্যাল ডি এক্স, যা অপসোনিন ফার্মালিমিটেড এর তৈরিকৃত একটি ঔষধ। এই ওষুধটি মূলত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর অভাব প্রতিরোধে ব্যবহৃত হওয়ার পাশাপাশি অস্টিওপোরোসিস, রিকেটস ও থাইপো প্যারাথাইরয়েডিজম সমস্যার প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এছাড়াও গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে চাহিদা বৃদ্ধির কারণে, বৃক্কের বিভিন্ন রোগ ও অগ্নাশয় প্রদাহ জনিত কারণে এবং খিচুনিরোধী ঔষধ হিসেবে এ্যালজিক্যাল ডি এক্স খাবার নির্দেশনা প্রদান করেন চিকিৎসকরা।
যার বাজার মূল্য প্রতি ট্যাবলেট ১১ টাকা এবং ৩০ টি ট্যাবলেটের একটি বক্সের দাম ৩৩০ টাকা। সেবন বিধির নিয়ম প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে একটি ট্যাবলেট সকালে এবং একটি ট্যাবলেট রাতে। সেই সাথে উক্ত ক্যালসিয়াম ঔষধটি মুখে সেবনযোগ্য।
আরও পড়ুনঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো
2. A-Cal D
একমী ল্যাবরেটরীজ লিমিটেড এর তৈরিকৃত একটি কার্যকরী ও জনপ্রিয় ঔষধ এ-ক্যাল ডি (A-Cal D), এই ওষুধটি মূলত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ এর পাশাপাশি অস্থি ও অস্থিমজ্জার বিভিন্ন জটিলতায়, দাঁতের সুগঠন ও মহিলাদের গর্ভকালীন ও স্তন্যদান কালীন সময় ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
যার প্রতি ট্যাবলেটের মূল্য মাত্র ৭ টাকা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সেবন বিধি দৈনিক একটি অথবা দুটি দিনে সেবনযোগ্য। তবে হ্যাঁ সেবন বিধি বা কার্যকারিতা জানার পরবর্তীতেও যে কোন ঔষধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করলে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
3. Calex-D
ক্যালসিয়াম ও ফসফেট এর বিভাগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ ক্যালেক্স ডি। যখন শরীরে পুষ্টির উপাদান কমে যায় এবং অস্টিওপোরোসিস রোগের আবির্ভাব ঘটে তখন চিকিৎসকরা সাধারণত এই ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
আর হ্যাঁ, অনেকেই জানতে ইচ্ছুক Calex 2000 IU Tablet এই ওষুধের জন্য কি অন্য কোন বিকল্প আছে? মানে বিকল্প হিসেবে কি অন্য কোন ঔষধ সেবন করা যায়? তাদের জন্য উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ। মূলত এই ক্যালসিয়াম ওষুধের বিকল্প হিসেবে নিচের ঔষধ গুলো সেবন করা যায়। সেগুলো হলো-
D3 Must 2000 IU Tablet
- Pure D3 2000 IU Tablet
- Trus D 2000 IU Tablet
- Lupi-D3 2000 IU Tablet
যেগুলোর প্রত্যেকটি আপনি যেকোনো ফার্মেসির দোকান থেকেই সংগ্রহ করতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমেও কিনতে পারবেন। তবে যে কোন ঔষধ কিনার পূর্বে অবশ্যই প্রস্তুতকারক সংস্থার নাম পণ্যের সঠিক নাম ও দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেবার চেষ্টা করবেন।
4. Caldical-D
ক্যালডিকাল-ডি ট্যাবলেট ঔষধটি ক্যালসিয়াম ওষুধ গুলোর মধ্যে অন্যতম। বলতে পারেন পুরো বাংলাদেশে সবথেকে বহু জনপ্রিয় ক্যালসিয়াম ওষুধ গুলোর মধ্যে একটি হল ক্যালডিকেল ডি, যা জিস্কা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর তৈরি কৃত একটি ঔষধ।
এই ঔষধটি ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি আরো বেশ কিছু রোগ প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়। যেমন এসিডিটি বদহজম, অম্বল, পেট খারাপ, অস্টিওম্যালাসিয়াসহ প্রভৃতি। এই ওষুধের বাজার মূল্য প্রতি ট্যাবলেট মাত্র ৭ টাকা। যা যে কোন ফার্মেসির দোকান থেকেই সংগ্রহ করা যায়।
আরও পড়ুন চাপা ভাঙ্গা ঠিক করার ট্যাবলেট | চাপা ভাঙ্গা ঠিক করার উপায়
5. Calbo-D
ক্যালবো ডি ও হল এটি অন্যতম জনপ্রিয় ক্যালসিয়াম ঔষধ, যা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর উৎপাদিত একটি ঔষধ। যার প্রতি ট্যাবলেট এর বাজার মূল্য মাত্র ৮ টাকা। এটি মূলত ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি মাথা ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব সহ পেশীর দুর্বলতা এবং আরো কিছু রোগ প্রতিরোধে নির্দেশিত।
6. Calcin-D
রেনেটা লিমিটেড এর তৈরিকৃত একটি ক্যালসিয়াম ঔষধ ক্যালসিন ডি, যার বাজার মূল্য প্রতি ট্যাবলেটের জন্য মাত্র ৮ টাকা। সেই সাথে এই ওষুধের সেবনবিধি হচ্ছে দৈনিক দিনে দুইটি করে ট্যাবলেট খাবার গ্রহণের পর খাওয়া।
7. Coralcal-dx
কোরালক্যাল-ডিএক্স ট্যাবলেটও ক্যালসিয়াম ঔষধ গুলোর মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এই ওষুধটি রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর তৈরি কৃত একটি ঔষধ। আপনি যদি এটি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য খেতে চান তাহলে দিনে দুইবার খেতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এবং অবশ্যই ভরা পেটে এই ঔষধটি সেবন করতে হবে।
কোরালক্যাল-ডিএক্স ট্যাবলেট এর বাজার মূল্য প্রতি ট্যাবলেটের ক্ষেত্রে মাত্র ১৬ টাকা, যা আপনি আশেপাশের যে কোন ফার্মেসির দোকানে পেয়ে যাবেন এমনকি অনলাইন থেকেও অর্ডার করতে পারবেন।
8. Coralbest-D
ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণে আরেকটি বহুল ব্যবহৃত ওষুধ কোরালবেস্ট ডি ট্যাবলেট। যা আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি হারকে অনেক বেশি মজবুত করে। এই ওষুধটি মূলত চিকিৎসকরা সকালে এবং রাতে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর প্রত্যেকটি ট্যাবলেট পিস এর দাম মাত্র ১০ টাকা।
আরও পড়ুন সানস্ক্রিন ক্রিম কোনটা ভালো
9. Calbostar
মানবদেহে ক্যালসিয়াম এবং রক্তে calbostar এর মাত্রা কমে গেলে সাধারণত এই ঔষধটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি মূলত স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এর তৈরিকৃত একটি জনপ্রিয় ঔষধ। যার বাজার মূল্য প্রতি ট্যাবলেট ১২.০৩ টাকা।
সবচেয়ে ভালো ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট
আপনার জন্য কোন ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সঠিক তা নির্ধারণ করার জন্য আপনার একজন ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
সবচেয়ে ভালো ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটি সেটা মূলত চিকিৎসকাই ভালো বলতে পারবেন। কেননা প্রত্যেকটি ওষুধই ভালো এবং কার্যকরী হয়ে থাকে। কিন্তু নির্দিষ্ট রোগের জন্য সুনির্দিষ্ট ঔষধ সঠিক পরিমাণে খেতে হবে এটাই হচ্ছে কথা।
আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে যে কয়েকটি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি সেই প্রত্যেকটি ট্যাবলেট ঔষধই আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো ঔষধ হতে পারে। কেননা আপনার সমস্যা এবং আপনার শরীরের ঘাটতির ওপর নির্ভর করে উক্ত ঔষধ গুলো খাওয়ার পরামর্শ দেবেন ডাক্তাররা।
তবে এবার আসুন জেনে নেই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম এর উপকারিতা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
এক একটি ট্যাবলেট এক এক সময় খেতে হয়। কিছু কিছু ট্যাবলেট রয়েছে যেগুলো ভরা পেটে খাওয়া নির্দেশিত এবং কিছু ট্যাবলেট রয়েছে যেগুলো খালি পেটে খাওয়ার জন্য নির্দেশিত। আর এটা মূলত আপনাকে দেওয়া প্রেসক্রিপশনেই লেখা থাকবে।
তবে হ্যাঁ আমাদের উল্লেখিত ক্যালসিয়াম ঔষধ গুলো সাধারণত দিনে দুইবার খাবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেননা উক্ত ওষুধগুলো সচরাচর ডাক্তাররা দিনে দুইবার একটি করে মোট দুইটি খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে আমরা সাজেস্ট করবো যে কোন ক্যালসিয়াম ঔষধ খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের কাছে এ ব্যাপারে জেনে নেওয়ার।
সেই সাথে আরও জেনে নেবেন কোন ঔষধ খাওয়ার আগে খেতে হবে এবং কোনটি খাওয়ার পরে। পাশাপাশি কোন ক্যালসিয়াম ঔষধটি খেলে ভাজাপোড়া বা তৈলাক্ত জাতীয় খাবারের পরিমাণ কমাতে হবে বা কোন কোন খাবারকে এভয়েড করতে হবে।
কেননা এতে করে ওষুধের কার্যকারিতা খুব বেশি দ্রুত উপলব্ধি করতে পারবেন আপনি। তাই সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন সঠিক নির্দেশিত মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন।
আরও পড়ুন কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার কি কি
এখানে কিছু ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রয়েছে:
দুগ্ধজাত খাবার: দুগ্ধজাত খাবার, যেমন দুধ, পনির এবং দই, ক্যালসিয়ামের সেরা উৎসগুলির মধ্যে একটি। একটি কাপ দুধে প্রায় ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে, যা প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক প্রয়োজনীয়তার প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজি, যেমন পাতা কপি, পালং শাক এবং সবুজ ব্রকলি, এছাড়াও ভালো উৎস। ক্যালসিয়ামের। একটি কাপ কাঁচা পাতা কপি প্রায় ২৪৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।
সয়াবিনজাত খাবার: সয়াবিনজাত খাবার, যেমন টোফু এবং সয়া দুধ, হল ভালো উদ্ভিদ-ভিত্তিক ক্যালসিয়ামের উৎস। একটি কাপ সয়া দুধে প্রায় ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।
বাদাম এবং বীজ: বাদাম এবং বীজ, যেমন বাদাম, তিল বীজ এবং সূর্যমুখী বীজ, ক্যালসিয়ামের কিছুটা পরিমাণ সরবরাহ করে। একটি আউন্স বাদামে প্রায় ৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।
দুধ, ডিম, দই, পনির, বাদাম, কিশমিশ, সাদা তিল, কুমড়ার বীজ, আখরোট, ডাল, সামুদ্রিক মাছ, শুঁটকির মতো খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে।
এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ভিটামিন ডি শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। তাই, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার বা সাপ্লিমেন্ট খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি-এর ভাল উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে সূর্যের আলো, মাছ, ডিম এবং ফোর্টিফাইড খাবার।
এই খাবার মাধ্যমে প্রাপ্ত ক্যালসিয়াম মান দ্রুত বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করতে পারে। তবে, আপনার চিকিত্সকের সাথে পরামর্শ করা উচিত যেন আপনি আপনার দৈনন্দিন খাবারের মাধ্যমে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম প্রাপ্ত করতে পারেন।
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা কি এটা কারোরই বুঝতে বাকি নেই। কেননা এটা আমরা প্রত্যেকেই জানি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার জন্য ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া হয়ে থাকে।
আর এই ক্যালসিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল, যা আমাদের শরীরের স্থায়ী গঠনতন্ত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার মাধ্যমে এই মিনারেলটি আমাদের শরীরে যোগ হয়। আর তাই এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। যেমন ধরুনঃ
- অস্থি স্বাস্থ্য সমর্থন: অধিকাংশ ক্যালসিয়াম আমাদের অস্থিতে সংরক্ষিত হয়। এটি আমাদের অস্থির শক্তি এবং সুরক্ষা বৃদ্ধি করে।
- মাংসপেশী কাজ সঠিকভাবে সঞ্চালন: ক্যালসিয়াম মাংসপেশী কাজ সঠিকভাবে চালনা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি মাংসপেশী সংক্রিয়া বিন্যাস এবং প্রশিক্ষণ সঠিকভাবে চালনা করতে সাহায্য করে এবং মাংসপেশী স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- চোখের স্বাস্থ্য: ক্যালসিয়াম চোখের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করে এবং চোখের নানা রকম সমস্যার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। তাছাড়াও এটি শক্তিশালী অস্থি উপাত্ত তৈরি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং অস্থি স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- হৃদ স্বাস্থ্য: ক্যালসিয়াম হৃদয়ের স্বাস্থ্য প্রতিরক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। এক কথায় হৃদরোগ জনিত সমস্যা থেকে আমাদেরকে সুরক্ষা প্রদান করে ক্যালসিয়াম।
- নার্ভ সিস্টেম সাপোর্ট: ক্যালসিয়াম নার্ভ সিস্টেম সাপোর্ট করে অর্থাৎ আমাদের নার্ভ কে স্বাভাবিক রাখে, যা মানব শরীরে যান্ত্রিক কাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এক কথায়, ক্যালসিয়ামের অভাবে আমাদের শরীরে যে সকল সমস্যাগুলো দেখা দেয় তার প্রত্যেকটির সমাধান এনে দেয় ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট। এবার আসুন জেনে নেই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর খুব একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই যদি আপনি এটি সঠিক নিয়মে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক সেবন করে থাকেন। তবে হ্যাঁ যদি আপনি নিজে নিজে ক্যালসিয়াম ঔষধ দীর্ঘদিন যাবত সেবন করেন সেক্ষেত্রে কিছু দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ভুলেও আনুমানিকের ওপর ভিত্তি করে কখনোই কোন ঔষধ সেবন করবেন না।
অবশ্যই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন এবং তাদের নির্দেশিত ঔষধ কি সঠিক সময়ে পরিমিত পরিমাণে সকল বিধি নিষেধ মেনে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
আশা করি আমাদের আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর ব্যবহার বিধি এবং আপনার জন্য কোন ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট ভালো এই প্রশ্নের উত্তরটি খুব সহজেই বুঝতে সক্ষম হয়েছেন। তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।