পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া মোটা হওয়ার ওষুধ সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকে থাকে অনেকেরই। কেননা সচরাচর যে ঔষধ গুলো মোটা হওয়ার জন্য কাজে দেয়, সেগুলোর থেকে থাকে মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর।
চিকন এবং রুগ্ন শরীর কারোরই পছন্দ নয়। তাই সবাই চায় অতিরিক্ত চিকন না থেকে কিছুটা মোটা হতে। যা তার সৌন্দর্যকে আরও বেশি বাড়িয়ে দেবে। ঠিক এ কারণেই মোটা হওয়ার উপায় জানতে আগ্রহী অনেকেই। আবার যারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে মোটা হওয়ার চেষ্টা করেছে তারা যেন ব্যতিব্যস্ত এটা জানতে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া মোটা হওয়ার ওষুধ আদৌ রয়েছে কিনা!
আসুন আজকের আলোচনার মাধ্যমে সেই সম্পর্কেই জেনে নেওয়া যাক। কেননা আজ আমরা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া মোটা হওয়ার ঔষধ এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি আমাদের এই নিবন্ধনটিতে। আপনি যদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া মোটা হওয়ার ওষুধ গুলো সংগ্রহ করতে চান এবং ওই সকল ওষুধের দাম জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন।
(toc) #title=(সুচিপত্র)
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া মোটা হওয়ার ওষুধ
সত্যি বলতে বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এমন কোন ঔষধের নামই সরাসরি জানাননি, যেটা মোটা হওয়ার জন্য ১০০% কার্যকরী এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত। অতএব এর অর্থ দাঁড়ালো এটা যে, বিশেষজ্ঞদের মতে মোটা হওয়ার জন্য বিশেষ কোনো ঔষধ বাজারে নেই বললেই চলে।
তো কথাটা শুনে নিশ্চয়ই অনেকেই অবাক হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ভাবছেন যে তাহলে মানুষ মোটা হওয়ার ওষুধ কেন খায় বা আশেপাশের যারা মোটা হওয়ার ঔষধ খেয়ে ইতিমধ্যে মোটা হয়েছে তাহলে তারা কিভাবে হলো এবং কেনই বা এখনো পর্যন্ত সুস্থ রয়েছে, যদি ওই সকল ওষুধের সাইড ইফেক্ট থেকেই থাকে!
এই সকল বিষয়ই আপনার কাছে সুস্পষ্ট হবে যদি আপনি আর্টিকেলের পরবর্তী অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়েন এবং বোঝার চেষ্টা করেন। কেননা আমরা ধারাবাহিকভাবে এখন মোটা হওয়ার ঔষধের নাম, পাশাপাশি মোটা হওয়ার ওষুধ খেলে কি হয়, কতটুকু উপকার হয় বা কতটুকু ক্ষতি হয় সেই সকল বিষয় সম্পর্কে অল্পবিস্তর আলোচনা করব।
যেগুলো জানলে আপনার কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে যাবে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া মোটা হওয়ার ওষুধ বলতে আদৌ কোন ঔষধই নেই বাজারে।
আরো পড়ুনঃ চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ সেরা ১০ ডাক্তার তালিকা
মোটা হওয়ার ওষুধের নাম
একজন মানুষ মূলত স্বাভাবিকের থেকে অতিরিক্ত চিকন হয়ে যায় তখন, যখন মুখের রুচি কমে যায় অর্থাৎ খাবারে অনিহা সৃষ্টি হয়। আপনি যদি নিয়মিত সঠিক পরিমাণে খাবার খান এবং পরিমিত পানি পান করেন তাহলে অবশ্যই আপনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন এবং আপনার শরীর পারফেক্ট হবে।
কিন্তু অনেকেই রয়েছেন, যাদের প্রশ্ন আমি পর্যাপ্ত খাবার খাই তবুও মোটা হতে পারি না। সত্যি বলতে এটা একদমই ভুল কথা এবং ভুল ধারণা। কেননা যাদের খাবারে অনিহা সৃষ্টি হয় তাদের মূলত অল্প কিছু খাবার খাওয়ার পরবর্তীতেই মনে হয় যে তার পেট ভরে গিয়েছে।
আর এটা মূলত বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে। মনে করুন যদি মুখে রুচি একদমই কমে যায়, বদহজম অথবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে থাকে কিংবা মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে থাকে। আর তাইতো অতিরিক্ত চিকন হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অবস্থান করছেঃ
- অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস
- মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা
- ডায়রিয়া
- ক্যান্সার
- এইডস
- ডায়াবেটিস
- আর্থ্রাইটিস
- যক্ষা
- কিডনির সমস্যা
- ফুসফুসের সমস্যা সহ প্রভৃতি।
আর তাই সবার প্রথমে চেষ্টা করতে হবে এই সমস্যাগুলো থেকে নিজেকে মুক্ত করবার এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে খাবার খাওয়ার। আর হ্যাঁ, মোটা হওয়ার জন্য সাধারণত যে ঔষধ গুলো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা, সেগুলো আদৌ মোটা হওয়ার ওষুধ নয়। ওই ওষুধগুলো মূলত মুখের রুচি বৃদ্ধির ঔষধ। যেগুলোর মধ্যে কিছু ঔষধ ট্যাবলেট আকারে, কিছু সিরাপ আকারে, আবার কিছু তরল আকারে পাওয়া যায়।
আর রুচি বৃদ্ধির সেই ওষুধগুলো অর্থাৎ মোটা হবার ঐ সকল ঔষধ গুলো বাজারে যে সকল নামে পরিচিত সেগুলো হলোঃ
- রুচিটন সিরাপ
- আলফালফা প্লাস সিরাপ
- আমলকি প্লাস সিরাপ
- ছাফি সিরাপ
- কারমিনা সিরাপ
- গুড হেলথ মেডিসিন
- মাল্টি শেভ ভিটামিন সিরাপ
- সিনকারা সিরাপ সহ-প্রভৃতি।
অন্যদিকে মোটা হওয়ার ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল হিসেবে যে ঔষধ গুলো বাজারে পাওয়া যায় সেগুলো হলোঃ
- Filwel Gold
- Bextram Gold
- Helfit tablet
- Cavic C Plus
- Zincovit সহ প্রকৃতি।
এবার আসুন আর্টিকেলের পরবর্তী অংশ পরার মাধ্যমে আরো জেনে নেওয়া যাক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া মোটা হওয়ার উপায় অর্থাৎ মোটা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় করণীয়, মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায় এবং মোটা হওয়ার ওষুধ সেবনের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া মোটা হওয়ার উপায়
কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া যদি আপনি প্রাকৃতিক নিয়মে নিজের শরীরকে মোটা করতে চান অর্থাৎ ফিট রাখতে চান, অতিরিক্ত চিকন শরীরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চান তাহলে আপনাকে প্রয়োজনীয় করণীয় কাজগুলো করতে হবে। আলোচনার এ পর্যায়ে মূলত আমরা মোটা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় করণীয়তা উল্লেখ করব। যথাঃ
- নিয়মিত খাবার খাওয়া এবং খাদ্য তালিকায় সবসময় স্বাস্থ্যকর ও চর্বিযুক্ত খাবার রাখা। পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের যোগান দিতে পারবে এমন পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা এবং ধীরে ধীরে খুব ভালো মতন সকল খাবার চিবিয়ে খাওয়া।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা। ব্যায়াম শরীরকে মোটা করনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। অনেকেই হয়তো ভাবেন ব্যায়াম করার মাধ্যমে মানুষ শুধুমাত্র শরীর কমাতে পারে অর্থাৎ চিকন হতে পারে, কিন্তু এটা মূলত একদমই ভুল চিন্তাভাবনা। আপনি যদি বেছে বেছে ওয়েট গেইন অর্থাৎ ওজন বৃদ্ধির ব্যায়াম গুলো করেন তাহলে সেগুলো মোটা হতে বেশ কাজে দেবে।
- পর্যাপ্ত পানি পান করা শরীরকে মোটা করার আরেকটি অন্যতম উপায়। অনেক অনেক খাবার খেয়ে অনেক অনেক মোটা হওয়ার ওষুধ খেয়েও আপনি মোটা হতে পারবেন না যদি পর্যাপ্ত পানি পান না করেন। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে মূলত শরীর মোটা হয় এটা চিকিৎসকরা বলেছেন। তাই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া মোটা হওয়ার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে নিয়মিত।
- পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া মোটা হওয়ার করনীয় কাজের মধ্যে। আপনি যদি লক্ষ করেন তাহলে নিশ্চয়ই নজরে আসবে সাধারণভাবে একজন সুস্থ মানুষ ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকেন। কিন্তু আপনি যদি আপনার শরীরকে মোটা করতে চান অর্থাৎ আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে চান সেক্ষেত্রে ঘুমের পরিমাণ অনেকটাই বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে ঘুমের সময়সীমা টা হতে পারে ১০-১২ বা তার আরেকটু বেশি।
আশা করছি এই বিষয়গুলো যদি আপনি মাথায় রাখেন এবং এই কাজগুলো করেন তাহলে আপনার চিকনা পাতলা শরীর কিছুদিনের মধ্যেই মোটা হবে অর্থাৎ অল্প-স্বল্প হলেও আপনি আপনার শরীরের উন্নতি দেখতে পাবেন।
এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক মোটা হবার ওষুধ সেবনে কি কি সাইড ইফেক্ট করতে পারে অর্থাৎ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে কি কি সমস্যা প্রকাশ পেতে পারে সেগুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা
মোটা হওয়ার ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মোটা হওয়ার ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো মূলত তখন দেখা দেয় যখন দীর্ঘদিন যাবত একনাগাড়ে মোটা হওয়ার ওষুধ সেবন করা হয়। আমাদের মাঝে এমন এক শ্রেণীর মানুষ রয়েছেন যারা মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ঔষধ ফার্মেসির দোকান থেকে কিনে নিজের ইচ্ছামত খাওয়া শুরু করেন প্রয়োজন মনে করেন না চিকিৎসকের পরামর্শ না আমার। তাদের ক্ষেত্রে মূলত এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো বেশি ফুটে ওঠে।
কেননা সঠিক পরিমাণে যদি কোন ওষুধ না খাওয়া হয় তাহলে তার উপকারের থেকে ক্ষতির পরিসীমাটা বেড়ে যায় এটাই স্বাভাবিক। আর ঠিক এ কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ এবং সকলের জন্যই সুবিধা জনক বলতে পারেন বিপদ মুক্ত। আর যদি সেটা না হয় তাহলে মূলত দেখা দেয় নানা সমস্যা। যেমন
- উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা
- হার্ট অথবা কোলেস্টেরলের সমস্যা
- শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া বা কাপুনি সৃষ্টি হওয়া
- হরমোনাল পরিবর্তন অথবা মুখ এবং মাংসপেশির সমস্যা ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাই আমরা পরামর্শ দিব যে কোন ঔষধ সেবন করার পূর্বে নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিমিত পরিমাণে এবং সঠিক সময়ে ঔষধ সেবন করুন।
আর হ্যাঁ, অনেকেই রয়েছেন যারা স্থায়ী মোটা হওয়ার ঔষধ, মহিলাদের মোটা হওয়ার ওষুধ, সাতদিনের মোটা হওয়ার ঔষধ, ছেলেদের মোটা হওয়ার ঔষধ, শিশুদের মোটা করার ঔষধ, মোটা হওয়ার ভিটামিন ক্যাপসুল, মোটা হওয়ার ভিটামিন সিরাপ, মোটা হওয়ার ওষুধ খেলে কি হয়, কোন ভিটামিন ট্যাবলেট খেলে শরীর মোটা হয়, কি সিরাপ খেলে মোটা হওয়া যায় দ্রুত, সকালে খালি পেটে কি খেলে শরীর মোটা হয়, মোটা না হওয়ার কারণ কি ইত্যাদি এই কুয়েরি গুলো লিখে সার্চ করে থাকেন।
আর তাদের উদ্দেশ্যই হলো মোটা হওয়ার সবচেয়ে ভালো ওষুধের নাম সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং সেগুলো কোথায় পাওয়া যাবে এবং দাম কত সে সম্পর্কে জানা। তো আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন তাহলে মোটা হবার ওষুধের নাম ও দাম জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশকৃত আরো একটি আর্টিকেল পড়তে পারেন এখনই। যেখানে আপনাদের এই সকল প্রশ্নের উত্তর মিলবে। তো পাঠক বন্ধুরা, আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।