ইনতেফা কীটনাশক তালিকা: ইনতেফা, বাংলাদেশের প্রথম সারির কৃষি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি অনন্য নাম। ২০০৪ সালে তাদের যাত্রা শুরু। কৃষকের সেবায় ও কৃষির উন্নয়নে সুনামের সাথে মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করে ইতোমধ্যে কৃষকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে ইনতেফা।
(toc) #title=(এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা পড়ুন)
কল্যাণে অঙ্গীকারাবদ্ধ – এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশের কৃষক ভাইদের উন্নতির জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে ইনতেফা। ইনতেফা কোম্পানির লক্ষ্য আধুনিক ও মানসম্পন্ন পরিবেশবান্ধব পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে কৃষক ভাইদের আশাতীত ফলন নিশ্চিত করা।
গুটিকয়েক নিবেদিত প্রাণ নিয়ে যাত্রা শুরু করে ইনতেফা পরিবারের সদস্য সংখ্যা আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয়শ’র উপরে। মাঠে-ঘাটে স্টকিস্ট, রিটেইলার ও চাষী ভাইদের অক্লান্ত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন প্রায় ৪৫০ জন বিক্রয় প্রতিনিধি। তাঁদের সর্বাক্ষণিক সহযোগীতা করে যাচ্ছেন প্যাকিং প্লান্ট ও সেলস সেন্টারের প্রায় ৮০ জন লজিস্টিকস কর্মী। সর্বোপরি সমস্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় নিবেদিত আছেন হেড অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ।
নিরবিচ্ছিন্নভাবে মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে সাভারের অদূরে আশুলিয়া-তে রয়েছে ইনতেফা-র প্যাকিং প্লান্ট। এখানে প্রায় ২০০ কর্মী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন মাঠ পর্যায়ে পণ্য সরবরাহ সচল রাখতে। প্যাকিং এ তাঁরা ব্যবহার করছেন আধুনিক স্বয়ংক্রিয় ও আধা-স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে ইনতেফা বরাবরই আপসহীন। তাই অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরীতে পণ্য নিয়মিত যাচাই-বাছাই করে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা হয় ইনতেফা-র পণ্যের।
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোষ্ট আমরা ইনতেফা কীটনাশক তালিকা সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করবো। সুতরাং আপনি যদি ইনতেফা কোম্পানির কীটনাশক তালিকা সম্পর্কে জানতে চান তবে লেখাটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন:
ইনতেফা কীটনাশক তালিকা
- আকিল ২৩ ডব্লিউডিজি
- সাহির ৫৪ এসজি
- সাবা ৮০ ডব্লিউডিজি
- দামার ৬০ ডব্লিউডিজি
- দামদামা গোল্ড ৪৪ ইসি
- জামির ২০ ইসি
- জাহিম ৫৫ ইসি
- হিমাম ৫০ ডব্লিউডিজি
- জুবাস-ডি ৫ ইসি
- বুরুজ ২৫ ডব্লিউডিজি
- লামাহ ২৫ ডব্লিউপি
- লাহিব ৩৮ ডব্লিউডিজি
- বাতির ৯৫ এসপি
- বাদা ১০ জি
- জাফ ২০ এসপি
- তাকাত ২৪.৭ এসসি
- দামদামা ৪৪০ ইসি
- হারবা ৪৫ এসসি
- সাওতা ৫৭%
- সাহাম ৫ এসজি
- জাদীদ ২০০ এসএল
- জহর ৩ জিআর
- ফানা ৫ জি
- কাছির ৪৮ ইসি
- লাকাদ ১.৮ ইসি
- তাজরী ৫০ এসপি
- নেমা ৫০ এসসি
- তুরাব ৬০ ইসি
- শেফা ১০ ইসি
- জুবাস ২.৫ ইসি
১। আকিল ২৩ ডব্লিউডিজি
পরিচিতি: আকিল ২৩ ডব্লিউডিজি ক্লোরফেনাপায়ার ও এমামেকটিন বেনজোয়েট-এর সংমিশ্রণে তৈরী একটি কীটনাশক। এটি স্পর্শক, পাকস্থলী বিষক্রিয়ক ও ট্রান্সল্যামিনার গুণসম্পন্ন এবং পানিতে খুব সহজে দ্রবণীয় স্বল্পমাত্রার কীটনাশক।
- ফর্মুলেশন :দানাদার (ডব্লিউডিজি)
- মেয়াদকাল : ২ বছর
- প্যাক সাইজ : ১০ গ্রাম, ২৫ গ্রাম ও ৫০ গ্রাম
- লাইসেন্স নং : এপি-৬৫৩৯
উপাদান: আকিল ২৩ ডব্লিউডিজি-এর প্রতি কেজিতে ১৮০ গ্রাম ক্লোরফেনাপায়ার ও ৫০ গ্রাম এমামেকটিন বেনজোয়েট সক্রিয় উপাদান বিদ্যমান।
প্রয়োগক্ষেত্র: ধানের বাদামী গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকা দমনে আকিল ২৩ ডব্লিউডিজি অত্যন্ত কার্যকর।
কার্যকারিতা:
- আকিল ২৩ ডব্লিউডিজি স্পর্শক, পাকস্থলী বিষক্রিয়ক ও ট্রান্সল্যামিনার গুণসম্পন্ন আধুনিক প্রজন্মের কীটনাশক।
- আকিল ২৩ ডব্লিউডিজি পোকামাকড়ের স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে। পোকামাকড়ের কোষের শক্তি উৎপাদন বিঘ্নিত করে ও খাবার গ্রহণ বন্ধ করে দেয়।ফলে পোকামাকড় প্যারালাইজ্ড (পক্ষাঘাতগ্রস্ত) হয়ে যায় এবং দ্রুত মারা যায়।
ব্যবহারবিধি: পোকার আক্রমণ দেখা দিলে আকিল ২৩ ডব্লিউডিজি প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ গ্রাম মিশিয়ে সমস্ত গাছ ভালোভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে। পোকামাকড়ের আক্রমণের উপর নির্ভর করে ৭-১০ দিন পরপর ২-৩ বার আকিল ২৩ ডব্লিউডিজি স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
নির্দেশনা: আকিল ২৩ ডব্লিউডিজি স্প্রে করার পর উক্ত জমিতে ৭-১৪ দিন গবাদিপশু ও পাখি ঢুকতে দিবেন না এবং উক্ত সময়ের মধ্যে ফসল বিক্রয় অথবা খাওয়ার জন্য তুলবেন না।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের সেরা কীটনাশক কোম্পানির তালিকা
২। সাহির ৫৪ এসজি
পরিচিতি: সাহির ৫৪ এসজি কারটাপ ও থায়ামেথোক্সাম-এর সংমিশ্রণে তৈরী একটি আধুনিক কীটনাশক। এটি স্পর্শক, পাকস্থলী ও প্রবহমান গুণসম্পন্ন এবং পানিতে অতি সহজে দ্রবণীয়।
- ফর্মুলেশন : দানাদার (এসজি)
- মেয়াদকাল : ২ বছর
- প্যাক সাইজ : ৫০ গ্রাম ও ১০০ গ্রাম
- রেজিঃ নং : এপি-৬২৪০
উপাদান: সাহির ৫৪ এসজি-এর প্রতি কেজিতে ৫০০ গ্রাম কারটাপ ও ৪০ গ্রাম থায়ামেথোক্সাম সক্রিয় উপাদান বিদ্যমান।
প্রয়োগক্ষেত্র: সাহির ৫৪ এসজি ধানসহ বিভিন্ন ফসলের যেমনঃ গম, আখ, ভুট্টার মাজরা পোকা দমনের জন্য অধিকতর কার্যকরী।
কার্যকারিতা:
- সাহির ৫৪ এসজি স্পর্শক, পাকস্থলী ও প্রবহমান গুণসম্পন্ন অধিক কার্যকর কীটনাশক।
- প্রবহমান গুণের কারণে স্প্রে করার অল্প সময়ের মধ্যেই জাইলেমের মাধ্যমে গাছের ভেতরে ঢুকে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে গাছকে বিষাক্ত করে। এর ফলে আক্রান্ত গাছে, এমনকি নতুন গজানো পাতাতেও পোকা আক্রমণ করলে অল্প সময়ের মধ্যে স্নায়ুতন্ত্রের বিষক্রিয়ায় প্যারালাইজড হয়ে সেগুলো পরবর্তীতে মারা যায়।
ব্যবহারবিধি: সাহির ৫৪ এসজি-এর একর প্রতি মাত্রা ৩০০ গ্রাম। চারা রোপনের ১৫-২৫ দিনের মধ্যে ১ম বার এবং চারা রোপনের ৪০-৫০ দিনের মধ্যে ২য় বার সমস্ত গাছ ভালোভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
নির্দেশনা: সাহির ৫৪ এসজি স্প্রে করার পর উক্ত জমিতে ৭-১৪ দিন গবাদিপশু ও পাখি ঢুকতে দিবেন না এবং উক্ত সময়ের মধ্যে ফসল বিক্রয় অথবা খাওয়ার জন্য তুলবেন না।
আরো পড়ুন: কীটনাশকের নাম ও ব্যবহার pdf
৩। সাবা ৮০ ডব্লিউডিজি
পরিচিতি: সাবা ৮০ ডব্লিউডিজি একটি স্পর্শক, পাকস্থলী, এন্টিফিডার, ট্রান্সল্যামিনার ও প্রবহমান গুণসম্পন্ন পরিবেশ বান্ধব এবং পানিতে অতি সহজে দ্রবণীয় স্বল্পমাত্রার আধুনিক কীটনাশক।
- ফর্মুলেশন : ডব্লিউডিজি
- মেয়াদকাল : ২ বছর
- প্যাক সাইজ : ৫০ গ্রাম ও ১০০ গ্রাম
- রেজিঃ নং : এপি-৬২৬৯
উপাদান: প্রতি কেজি সাবা ৮০ ডব্লিউডিজি-এ ৬০০ গ্রাম পাইমেট্রিাজিন ও ২০০ গ্রাম নিটেনপাইরাম বিদ্যমান।
প্রয়োগক্ষেত্র: ধানের বাদামী গাছ ফড়িং ও বিভিন্ন ধরনের শোষক পোকা, যেমন- পামরী পোকা, জাব পোকা, জ্যাসিড, থ্রিপস্, সাদা মাছি ও সবুজ পাতা ফড়িং ইতাদি দমন করে।
কার্যকারিতা:
- সাবা ৮০ ডব্লিউডিজি একটি পানিতে দ্রবণীয় স্পর্শক, পাকস্থলী, এন্টিফিডার, ট্রান্সলেমিনার ও প্রবহমান গুণসম্পন্ন পরিবেশ বান্ধব স্বল্পমাত্রার কীটনাশক।
- ক্ষতিকারক পোকা সাবা ৮০ ডব্লিউডিজি ব্যবহৃত গাছের রস একবার শোষণ করলে ক্ষুধা মন্দা দেখা দেয়, ফলে পোকাটি খাবার গ্রহন বন্ধ করে দেয় এবং পরবর্তীতে স্নায়ুতন্ত্রের বিষক্রিয়ায় মারা যায়।
ব্যবহারবিধি: আক্রমণের পূর্বে বা পোকার আক্রমণ দেখামাত্র পোকার উপদ্রব অনুযায়ী একরে ১০০ গ্রাম এবং প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ গ্রাম সাবা ৮০ ডব্লিউডিজি মিশিয়ে সমস্ত গাছ ভালভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
নির্দেশনা: সাবা ৮০ ডব্লিউডিজি স্প্রে করার ৭-১৪ দিনের মধ্যে গবাদি পশু ও পাখি ক্ষেতে প্রবেশ করতে দিবেন না এবং ফসল তুলবেন না বা খাবেন না।
আরো পড়ুন: পানি দূষণের ১০টি কারণ
৪। দামার ৬০ ডব্লিউডিজি
পরিচিতি: দামার ৬০ ডব্লিউডিজি স্পর্শক, পাকস্থলী ও প্রবহমান গুণসম্পন্ন দানাদার এবং পানিতে খুবই সহজে দ্রবণীয় স্বল্পমাত্রার ছত্রাকনাশক।
- ফর্মুলেশন : ডব্লিউডিজি
- মেয়াদকাল : ২ বছর
- প্যাক সাইজ : ২৫, ৫০, ১০০ গ্রাম
- রেজিঃ নং : এপি-৬১৯৮
উপাদান: প্রতি কেজি দামার ৬০ ডব্লিউডিজি-এ ৪০০ গ্রাম ফিপ্রোনিল ও ২০০ গ্রাম থায়ামেথোক্সাম সক্রিয় উপাদান বিদ্যমান।
প্রয়োগক্ষেত্র: দামার ৬০ ডব্লিউডিজি বিভিন্ন ফসলের বিভিন্ন ধরনের মাজরা পোকা দমনে অত্যন্ত কার্যকর। যেমনঃ
- ধান, গম, আখ ও ভুট্টার মাজরা পোকা,
- বেগুন ও ঢেঁড়শের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা,
- টমেটো, মরিচ, করলা, পটল, কাঁকরোল ইত্যাদি ফসলের ফল ছিদ্রকারী পোকা,
- শিম জাতীয় ফসলের পড ছিদ্রকারী পোকা এবং
- আম ও লিচুর ফল ছিদ্রকারী পোকা।
কার্যকারিতা: দামার ৬০ ডব্লিউডিজি স্পর্শক, পাকস্থলী ও গাছের ভেতর দ্রুত প্রবেশ করার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রবহমান কীটনাশক। এর প্রবহমান গুণের কারণে গাছের শিকড়, পাতা ও কান্ড দ্বারা শোষিত হয়ে খুব দ্রুত জাইলেমের মাধ্যমে সমস্ত গাছে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে গাছে পোকা আক্রমণ করলে বা খেলে অল্প সময়ের মধ্যে স্নায়ুতন্ত্রের বিষক্রিয়ায় সেগুলো মারা যায়।
ব্যবহারবিধি:
- দামার ৬০ ডব্লিউডিজি হেক্টরে ২৫০ গ্রাম হারে প্রয়োগ করতে হবে।
- ধানের চারা লাগানোর ১৫-২০ দিনের মধ্যে সারের সাথে মিশিয়ে অনুমোদিত মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে। আবার চারার বয়স ৪০-৪৫ দিন হলে প্রতি লিটার পানিতে ০-৫ গ্রাম মিশিয়ে সমস্ত গাছ ভালোভাবে ভিজিঁয়ে স্প্রে করে দিতে হবে।
নির্দেশনা: দামার ৬০ ডব্লিউডিজি স্প্রে করার ৭-১৪ দিনের মধ্যে গবাদি পশু ও পাখি ক্ষেতে প্রবেশ করতে দিবেন না এবং ফসল তুলবেন না বা খাবেন না।
৫। দামদামা গোল্ড ৪৪ ইসি
পরিচিতি: দামদামা গোল্ড ৪৪ ইসি স্পর্শক ও পাকস্থলী বিষক্রিয়াসম্পন্ন কার্যকরী কীটনাশক।
- ফর্মুলেশন : তরল (ইসি)
- মেয়াদকাল : ২ বছর
- প্যাক সাইজ : ৫০ মিলি, ১০০ মিলি ও ৪০০ মিলি
- রেজিঃ নং : এপি-৫৫৮৩
উপাদান: প্রতি লিটার দামদামা গোল্ড ৪৪ ইসি-এ ৪০০ গ্রাম প্রোফেনোফস ও ৪০ গ্রাম সাইপারমেথ্রিন সক্রিয় উপাদান বিদ্যমান।
প্রয়োগক্ষেত্র: নিম্নলিখিত ফসলের পোকা দমনে দামদামা গোল্ড ৪৪ ইসি অত্যন্ত কার্যকরঃ
ফসল:
- আম, পেয়ারা, বড়ই, লিচু ও কুমড়া জাতীয় ফসল
- আম
- তুলা
- কলা
- পেয়ারা
পোকা:
- মাছি, জাব পোকা ও ফলছিদ্রকারী পোকা
- এফিড, জ্যাসিড ও বলওয়ার্ম
- বিটল
- সাদামাছি
- হপার
কার্যকারিতা:
- দামদামা গোল্ড ৪৪ ইসি একটি স্পর্শক ও পাকস্থলী বিষক্রিয়াসম্পন্ন কার্যকরী কীটনাশক।
- দামদামা গোল্ড ৪৪ ইসি একই সাথে ডিম, কীড়া ও পরিণত পোকা দমন করে।
ব্যবহারবিধি: প্রায় সব ফসলে প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি, তবে তুলার এফিড ও জ্যাসিডের ক্ষেত্রে ৪.৮ মিলি এবং বলওয়ার্ম এর ক্ষেত্রে ৬.৪ মিলি দামদামা গোল্ড ৪৪ ইসি মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
নির্দেশনা: দামদামা গোল্ড ৪৪ ইসি প্রয়োগ করার ১৪-২১ দিনের মধ্যে গবাদি পশু, হাঁস ও মুরগী ক্ষেতে প্রবেশ করতে দিবেন না এবং উক্ত সময়ের মধ্যে ফসল তুলবেন না বা খাবেন না।
আরো পড়ুন: গাইবান্ধা জেলার বিখ্যাত স্থান - গাইবান্ধা জেলার দর্শনীয় স্থান
৬। জামির ২০ ইসি
পরিচিতি: জামির ২০ ইসি একটি স্পর্শক ও প্রবহমান বিষক্রিয়াসম্পন্ন কার্যকরী কীটনাশক।
- ফর্মুলেশন : তরল (ইসি)
- মেয়াদকাল : ২ বছর
- প্যাক সাইজ : ৫০ মিলি, ১০০ মিলি ও ৪০০ মিলি
- রেজিঃ নং : এপি-৫৫২৪
উপাদান: প্রতি লিটার জামির ২০ ইসি-এ ৫০ গ্রাম সক্রিয় উপাদান পাইরিপ্রক্সিফেন ও ১৫০ গ্রাম ফেনপ্রোপেথ্রিন বিদ্যমান।
প্রয়োগক্ষেত্র: জামির ২০ ইসি বেগুন ও ঢেঁড়শের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা, টমেটো, মরিচ, করলা, পটল, কাঁকরোল ইত্যাদি ফসলের ফল ছিদ্রকারী পোকা এবং শিম জাতীয় ফসলের পড ছিদ্রকারী পোকা দমনে ব্যবহার করা যাবে।
কার্যকারিতা:
- জামির ২০ ইসি স্পর্শক ও প্রবহমান গুণসম্পন্ন।
- জামির ২০ ইসি-এর বিষক্রিয়া পোকার দৈহিক বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে।
ব্যবহারবিধি: পোকার উপদ্রব অনুযায়ী প্রতি লিটার পানিতে ১-১.৫ মিলি জামির ২০ ইসি মিশিয়ে সমস্ত গাছ ভালভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
নির্দেশনা: জামির ২০ ইসি স্প্রে করার ১৪-২১ দিনের মধ্যে গবাদি পশু, হাঁস ও মুরগী ক্ষেতে প্রবেশ করতে দিবেন না এবং উক্ত সময়ের মধ্যে ফসল তুলবেন না বা খাবেন না।
৭। জাহিম ৫৫ ইসি
পরিচিতি: জাহিম ৫৫ ইসি একটি বহুমুখী গুণসম্পন্ন স্পর্শক, পাকস্থলী ও শ্বাসরোধী বিষক্রিয়াসম্পন্ন কার্যকরী কীটনাশক।
- ফর্মুলেশন : তরল (ইসি)
- মেয়াদকাল : ২ বছর
- প্যাক সাইজ : ৫০ মিলি, ১০০ মিলি, ৫০০ মিলি ও ১ লিটার
- রেজিঃ নং : এপি-৫৫৪০
উপাদান: প্রতি লিটার জাহিম ৫৫ ইসি-এ ৫০০ গ্রাম সক্রিয় উপাদান ক্লোরপাইরিফস ও ৫০ গ্রাম সাইপারমেথ্রিন বিদ্যমান।
প্রয়োগক্ষেত্র: জাহিম ৫৫ ইসি ধানের লেদাপোকা, চুঙ্গিপোকা, গান্ধিপোকা ও ঘাস ফড়িং, আমের হপার, কলার বিটল এবং বিভিন্ন সবজির পাতা খাদক পোকা দমনে ব্যবহার করা যাবে।
কার্যকারিতা:
- জাহিম ৫৫ ইসি স্পর্শক, পাকস্থলী ও শ্বাসরোধী গুণসম্পন্ন।
- জাহিম ৫৫ ইসি-এর বিষক্রিয়ায় পোকার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় বিধায় পোকা মারা যায়।
ব্যবহারবিধি: পোকার উপদ্রব অনুযায়ী প্রতি লিটার পানিতে ০.৫-২.০ মিলি জাহিম ৫৫ ইসি মিশিয়ে সমস্ত গাছ ভালভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
নির্দেশনা: জাহিম ৫৫ ইসি স্প্রে করার ১৪-২১ দিনের মধ্যে গবাদি পশু, হাঁস ও মুরগী ক্ষেতে প্রবেশ করতে দিবেন না এবং উক্ত সময়ের মধ্যে ফসল তুলবেন না বা খাবেন না।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের সেরা ১০টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি
৮। হিমাম ৫০ ডব্লিউডিজি
পরিচিতি: হিমাম ৫০ ডব্লিউডিজি নতুন প্রজন্মের পানিতে সহজে দ্রবণীয় একটি দানাদার কীটনাশক। হিমাম ৫০ ডব্লিউডিজি একই সাথে ছিদ্র ও কুড়ে কুড়ে খাওয়া এবং শোষক পোকা দমনে সমানভাবে কার্যকরী।
- ফর্মুলেশন : দানাদার (ডব্লিউডিজি)
- মেয়াদকাল : ২ বছর
- প্যাক সাইজ : ৪ গ্রাম
- রেজিঃ নং : এপি-৫২৮৬
উপাদান: হিমাম ৫০ ডব্লিউডিজি-এর প্রতি কেজিতে ১০০ গ্রাম এমামেকটিন বেনজয়েট ও ৪০০ গ্রাম লুফেনিউরন সক্রিয় উপাদান বিদ্যমান।
প্রয়োগক্ষেত্র: হিমাম ৫০ ডব্লিউডিজি চায়ের হেলোপেলটিস মশার উপর রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত। তবে হিমাম ৫০ ডব্লিউডিজি নিম্নোক্ত ফসল রক্ষায় ও পোকা দমনে ব্যবহার করা যাবেঃ
ফসল:
- বেগুন ও ঢেঁড়শ
- টমেটো, মরিচ, করলা, পটল, কাঁকরোল ইত্যাদি
- শিম জাতীয় ফসল
- আম ও লিচু
- বিভিন্ন সবজি
- চা
পোকা:
- ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা
- ফল ছিদ্রকারী পোকা
- পড ছিদ্রকারী পোকা
- শোষক পোকা, ডায়মন্ড ব্যাক মথ, লুপার ইত্যাদি
- হেলোপেলটিস মশা
- ফল ছিদ্রকারী পোকা
কার্যকারিতা:
- হিমাম ৫০ ডব্লিউডিজি স্পর্শক, পাকস্থলী ও প্রবহমান গুণসম্পন্ন।
- হিমাম ৫০ ডব্লিউডিজি-এর বিষক্রিয়ায় পোকা তাদের শরীরে কাইটিন তৈরী করতে পারে না, বিধায় প্যারালাইজড হয়ে পোকা মারা যায়।
- হিমাম ৫০ ডব্লিউডিজি পোকার উর্বরতা শক্তি কমায় এবং ডিম থেকে বাচ্চা বের হতে বাধা দেয়।
ব্যবহারবিধি:
- প্রতি ১৬ লিটার পানিতে ৪ গ্রাম হিমাম ৫০ ডব্লিউডিজি মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
- সমস্ত গাছ ভালভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
নির্দেশনা: হিমাম ৫০ ডব্লিউডিজি স্প্রে করার ৭-১৪ দিনের মধ্যে গবাদি পশু, হাঁস ও মুরগী ক্ষেতে প্রবেশ করতে দিবেন না এবং উক্ত সময়ের মধ্যে ফসল তুলবেন না বা খাবেন না।
আরো পড়ুন: ইউনিক বিজনেস আইডিয়া ২০২৪
৯। জুবাস-ডি ৫ ইসি
পরিচিতি: জুবাস-ডি ৫ ইসি স্পর্শক ও পাকস্থলী বিষক্রিয়াসম্পন্ন কার্যকরী কীটনাশক।
- ফর্মুলেশন : তরল (ইসি)
- মেয়াদকাল : ২ বছর
- প্যাক সাইজ : ২৫ মিলি, ৫০ মিলি, ১০০ মিলি ও ৫০০ মিলি
- রেজিঃ নং : এপি-৪৪৭৭
প্রয়োগক্ষেত্র: নিম্নলিখিত ফসলের পোকা দমনে জুবাস-ডি ৫ ইসি অত্যন্ত কার্যকরী।
ফসল:
- পাট
- আম
- ধান
- বিভিন্ন সবজি
পোকা:
- বিছা পোকা
- হপার পোকা
- লেদাপোকা ও পাতা মোড়ানো পোকা
- মথ, বিটল ও লেদা পোকা এবং কাটুই পোকা
কার্যকারিতা:
- জুবাস-ডি ৫ ইসি পোকার স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে।
- জুবাস-ডি ৫ ইসি রিপেল্যান্ট হিসাবে কাজ করে।
ব্যবহারবিধি: পোকার উপদ্রবের উপর ভিত্তি করে প্রতি লিটার পানির সাথে ০.৫-১ মিলি জুবাস-ডি ৫ ইসি মিশিয়ে সমস্ত গাছ ভালভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
নির্দেশনা: জুবাস-ডি ৫ ইসি স্প্রে করার ১৪-২১ দিনের মধ্যে গবাদি পশু, হাঁস ও মুরগী ক্ষেতে প্রবেশ করতে দিবেন না এবং উক্ত সময়ের মধ্যে ফসল তুলবেন না বা খাবেন না।
১০। বুরুজ ২৫ ডব্লিউডিজি
পরিচিতি: বুরুজ ২৫ ডব্লিউডিজি স্পর্শক, পাকস্থলী ও প্রবহমান গুণসম্পন্ন অধিক কার্যকরী কীটনাশক।
- ফর্মুলেশন : গ্রানুলার (ডব্লিউডিজি)
- মেয়াদকাল : ২ বছর
- প্যাক সাইজ : ১৭ গ্রাম ও ৫০ গ্রাম
- রেজিঃ নং : এপি-৪১৩৩
উপাদান: প্রতি কেজি বুরুজ ২৫ ডব্লিউডিজি-এ ৫০ গ্রাম ইথিয়ন ও ২০০ গ্রাম থায়ামেথোক্সাম সক্রিয় উপাদান বিদ্যমান।
প্রয়োগক্ষেত্র: বিভিন্ন ধরনের শোষক পোকা, যেমন- সবুজ পাতা ফড়িং, সাদা মাছি, থ্রিপস, জ্যাসিড, হপার এবং মাকড় ইত্যাদি দমনে বুরুজ ২৫ ডব্লিউডিজি ব্যবহৃত হয়।
কার্যকারিতা: বুরুজ ২৫ ডব্লিউডিজি স্পর্শক হওয়ায় পোকার গায়ে লাগলেও মারা যায় এবং পাকস্থলী বিষক্রিয়াসম্পন্ন হওয়ায় খেলেও মারা যায় এবং একই সাথে ভাইরাসজনিত রোগ নিয়ন্ত্রন করে
ব্যবহারবিধি: বিঘা প্রতি মাত্রা ১৭ গ্রাম।
নির্দেশনা: বুরুজ ২৫ ডব্লিউডিজি প্রয়োগ করার ৭-১৪ দিনের মধ্যে গবাদি পশু, হাঁস ও মুরগী ক্ষেতে প্রবেশ করতে দিবেন না এবং উক্ত সময়ের মধ্যে ফসল তুলবেন না বা খাবেন না।
১১। লামাহ ২৫ ডব্লিউপি
পরিচিতি: লামাহ ২৫ ডব্লিউপি স্পর্শক, পাকস্থলী ও স্থায়ী গুণসম্পন্ন অধিক কার্যকরী কীটনাশক।
- ফর্মুলেশন : পাউডার (ডব্লিউপি)
- মেয়াদকাল : ২ বছর
- প্যাক সাইজ : ৬৬ গ্রাম ও ১০০ গ্রাম
- রেজিঃ নং : এপি-৪০৯১
উপাদান: প্রতি কেজি লামাহ ২৫ ডব্লিউপি-এ ২০০ গ্রাম আইসোপ্রোকার্ব এবং ৫০ গ্রাম বুপ্রোফেজিন সক্রিয় উপাদান বিদ্যমান।
প্রয়োগক্ষেত্র: ধানের বাদামী গাছ ফড়িং, পামরী পোকা, থ্রিপস ও সবুজ পাতা ফড়িং ইত্যাদি দমনে লামাহ ২৫ ডব্লিউপি অত্যন্ত কার্যকর।
কার্যকারিতা:
- লামাহ ২৫ ডব্লিউপি পোকার ডিম পাড়তে বাধা দেয়। পোকা ডিম পাড়লেও বন্ধ্যা ডিম পাড়ে।
- লামাহ ২৫ ডব্লিউপি কীড়াকে পূর্ণাঙ্গ পোকা হতে বাধা প্রদান করে।
ব্যবহারবিধি:
- একর প্রতি মাত্রা ২০০ গ্রাম।
- পোকা দেখা মাত্রই সমস্ত গাছে ভালভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
নির্দেশনা:
- ধান গাছের গোড়া ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
- লামাহ ২৫ ডব্লিউপি প্রয়োগ করার ১৪-২১ দিনের মধ্যে গবাদি পশু, হাঁস ও মুরগী ক্ষেতে প্রবেশ করতে দিবেন না এবং উক্ত সময়ের মধ্যে ফসল তুলবেন না বা খাবেন না।
১২। লাহিব ৩৮ ডব্লিউডিজি
পরিচিতি: লাহিব ৩৮ ডব্লিউডিজি স্পর্শক, প্রবহমান, পাকস্থলী ও ট্রান্সল্যামিনার গুণসম্পন্ন অতি অল্প মাত্রায় অধিক কার্যকরী কীটনাশক।
- ফর্মুলেশন : গ্রানুলার (ডব্লিউডিজি)
- মেয়াদকাল : ২ বছর
- প্যাক সাইজ : ৫ গ্রাম ও ১০ গ্রাম
- রেজিঃ নং : এপি-৩৮৪৫
উপাদান: প্রতি কেজি লাহিব ৩৮ ডব্লিউডিজি-এ ৩৬০ গ্রাম ইমিডাক্লোপ্রিড ও ২০ গ্রাম এবামেকটিন সক্রিয় উপাদান বিদ্যমান।
প্রয়োগক্ষেত্র: বাদামী গাছ ফড়িং, সবুজ পাতা ফড়িং, জাব পোকা, সাদা মাছি, থ্রিপস, জ্যাসিড এবং মাকড় দমনে লাহিব ৩৮ ডব্লিউডিজি কার্যকরী।
কার্যকারিতা:
- লাহিব ৩৮ ডব্লিউডিজি একই সাথে শোষক পোকা ও মাকড় দমন করে।
- লাহিব ৩৮ ডব্লিউডিজি ভাইরাসজনিত রোগ নিয়ন্ত্রন করে।
ব্যবহারবিধি: প্রতি ১৬ লিটার পানিতে ৩-৫ গ্রাম লাহিব ৩৮ ডব্লিউডিজি ব্যবহার করুন।
নির্দেশনা: লাহিব ৩৮ ডব্লিউডিজি প্রয়োগ করার ১৪-২১ দিনের মধ্যে গবাদি পশু, হাঁস ও মুরগী ক্ষেতে প্রবেশ করতে দিবেন না এবং উক্ত সময়ের মধ্যে ফসল তুলবেন না বা খাবেন না।
আরো পড়ুন: কার্প জাতীয় মাছের খাদ্য তালিকা
১৩। বাতির ৯৫ এসপি
পরিচিতি: বাতির ৯৫ এসপি স্পর্শক, পাকস্থলী ও ট্রান্সল্যামিনার গুণসম্পন্ন প্রবহমান কার্যকরী কীটনাশক।
- ফর্মুলেশন : পাউডার (এসপি)
- মেয়াদকাল : ২ বছর
- প্যাক সাইজ : ২৫ গ্রাম, ৫০ গ্রাম ও ১০০ গ্রাম
- রেজিঃ নং : এপি-৩৭৯৩
উপাদান: প্রতি কেজি বাতির ৯৫ এসপি-এ ৯২০ গ্রাম কারটাপ ও ৩০ গ্রাম অ্যাসিটামিপ্রিড সক্রিয় উপাদান বিদ্যমান।
প্রয়োগক্ষেত্র: বাতির ৯৫ এসপি ধানের হলুদ মাজরা পোকা ও ভুট্টার মাজরা পোকা দমনের জন্য অধিকতর কার্যকরী।
কার্যকারিতা:
- প্রবহমান ও ট্রান্সল্যামিনার গুণের কারণে বাতির ৯৫ এসপি স্প্রে করার অল্প সময়ের মধ্যেই গাছের ভেতর ঢুকে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে গাছকে বিষাক্ত করে।
- বাতির ৯৫ এসপি গাছের ভিতরের ও বাইরের কান্ড ও ফলছিদ্রকারী, চিবিয়ে খাওয়া ও রস শোষণকারী পোকাসমূহ সফলভাবে দমন করে।
ব্যবহারবিধি: বিঘা (৩৩ শতক) প্রতি মাত্রা ৫০ গ্রাম।
নির্দেশনা: বাতির ৯৫ এসপি প্রয়োগ করার ১৪-২১ দিনের মধ্যে গবাদি পশু, হাঁস ও মুরগী ক্ষেতে প্রবেশ করতে দিবেন না এবং উক্ত সময়ের মধ্যে ফসল তুলবেন না বা খাবেন না।
১৪। বাদা ১০ জি
পরিচিতি: বাদা ১০ জি একটি বহুমুখী গুণসম্পন্ন স্পর্শক, পাকস্থলী ও শ্বাসরোধী বিষক্রিয়াসম্পন্ন কার্যকরী কীটনাশক।
- ফর্মুলেশন : গ্রানুলার (জি)
- মেয়াদকাল : ২ বছর
- প্যাক সাইজ : ১ কেজি ও ২ কেজি
- রেজিঃ নং : এপি-৩৩৩০
উপাদান: প্রতি কেজি বাদা ১০ জি-এ ১০০ গ্রাম ডায়াজিনন সক্রিয় উপাদান বিদ্যমান।
প্রয়োগক্ষেত্র: কাটুই পোকা, ধানের নলি মাছি ও মাজরা পোকা এবং ভুট্টার মাজরা পোকা দমনের জন্য বাদা ১০ জি অত্যন্ত কার্যকরী।
কার্যকারিতা: বাদা ১০ জি-এর বিষক্রিয়ায় পোকার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় বিধায় পোকা মারা যায়।
ব্যবহারবিধি: মাজরা পোকা ও নলি মাছির জন্য একরে ৬.৮ কেজি এবং কাটুই পোকার জন্য একরে ৪.৮ কেজি বাদা ১০ জি প্রয়োগ করুন।
নির্দেশনা: বাদা ১০ জি প্রয়োগ করার ১৪-২১ দিনের মধ্যে গবাদি পশু, হাঁস ও মুরগী ক্ষেতে প্রবেশ করতে দিবেন না এবং উক্ত সময়ের মধ্যে ফসল তুলবেন না বা খাবেন না।
১৫। জাফ ২০ এসপি
পরিচিতি: জাফ ২০ এসপি স্পর্শক, পাকস্থলী ও ট্রান্সল্যামিনার বিষক্রিয়াসম্পন্ন কার্যকরী কীটনাশক।
- ফর্মুলেশন : পাউডার (এসপি)
- মেয়াদকাল : ২ বছর
- প্যাক সাইজ : ৫০ গ্রাম
- রেজিঃ নং : এপি-২৮৭০
উপাদান: প্রতি কেজি জাফ ২০ এসপি-এ ২০০ গ্রাম অ্যাসিটামিপ্রিড সক্রিয় উপাদান বিদ্যমান।
প্রয়োগক্ষেত্র: বিভিন্ন ধরনের শোষক পোকা, যেমন- বাদামী গাছ ফড়িং, সাদা মাছি, থ্রিপস, জ্যাসিড, জাব পোকা ও সবুজ পাতা ফড়িং ইত্যাদি দমনে জাফ ২০ এসপি অত্যন্ত কার্যকরী।
কার্যকারিতা:
- জাফ ২০ এসপি একই সাথে ডিম, কীড়া ও পরিণত পোকা দমন করে।
- জাফ ২০ এসপি-এর কার্যকারিতা দীর্ঘদিন স্থায়ী থাকে।
ব্যবহারবিধি: প্রতি লিটার পানিতে ০.২৫-১.০ গ্রাম জাফ ২০ এসপি মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
নির্দেশনা: জাফ ২০ এসপি প্রয়োগ করার ৭-১৪ দিনের মধ্যে গবাদি পশু, হাঁস ও মুরগী ক্ষেতে প্রবেশ করতে দিবেন না এবং উক্ত সময়ের মধ্যে ফসল তুলবেন না বা খাবেন না।
১৬। তাকাত ২৪.৭ এসসি
পরিচিতি: তাকাত ২৪.৭ এসসি স্পর্শক, পাকস্থলী ও প্রবহমান বিষক্রিয়াসম্পন্ন কার্যকরী কীটনাশক।
- ফর্মুলেশন : তরল (এসসি)
- মেয়াদকাল : ২ বছর
- প্যাক সাইজ : ২৫ মিলি, ৫০ মিলি ও ১০০ মিলি
- রেজিঃ নং : এপি-৩০২০
উপাদান: প্রতি লিটার তাকাত ২৪.৭ এসসি-এ ১৪১ গ্রাম থায়ামেথোক্সাম ও ১০৬ গ্রাম ল্যামডা-সাইহ্যালোথ্রিন সক্রিয় উপাদান বিদ্যমান।
প্রয়োগক্ষেত্র: তাকাত ২৪.৭ এসসি নিম্নলিখিত ফসলের পোকা দমনে অধিক কার্যকরঃ
ফসল | পোকা |
---|---|
সবজি | মথ, বিটল ও কাটুই পোকা |
আম | হপার ও ফল ছিদ্রকারী পোকা |
লিচু | ফল ছিদ্রকারী পোকা |
ধান | পাতা/শীষ কাটা লেদাপোকা, পাতা মোড়ানো পোকা ও পামরী পোকা |
বিভিন্ন ধরনের শোষক পোকা, যেমন- বাদামী গাছ ফড়িং, জাব পোকা, জ্যাসিড, থ্রিপস, সাদা মাছি, সবুজ পাতা ফড়িং ইত্যাদি |
কার্যকারিতা: তাকাত ২৪.৭ এসসি স্পর্শক হওয়ায় পোকার গায়ে লাগলেও মারা যায় এবং পাকস্থলী বিষক্রিয়াসম্পন্ন হওয়ায় খেলেও মারা যায়।
ব্যবহারবিধি: পোকার উপদ্রব অনুযায়ী প্রতি লিটার পানির জন্য ০.৫-১.০ মিলি তাকাত ২৪.৭ এসসি ব্যবহার করুন।
নির্দেশনা:তাকাত ২৪.৭ এসসি ব্যবহারের পূর্বে বোতলটি ভালভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে। তাকাত ২৪.৭ এসসি প্রয়োগ করার ১৪-২১ দিনের মধ্যে গবাদি পশু, হাঁস ও মুরগী ক্ষেতে প্রবেশ করতে দিবেন না এবং উক্ত সময়ের মধ্যে ফসল তুলবেন না বা খাবেন না।
লেখকের শেষকথা
সম্মানিত পাঠকগণ আজকের আর্টিকেল এই ছিলো ইনতেফা কীটনাশক তালিকা সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা। আশা করি লেখাটি পরে অনেক উপকৃত হয়েছেন। আমাদের এই লেখাটি আপনার কাছে হেল্পফুল বা তথ্যবহুল মনে হলে অন্যদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি। শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।