ফিস্টুলা অপারেশনের খরচ কত: পায়ুপথের একটি সাধারন রোগ ফিস্টুলা। যেটা থেকে বাঁচার উপায় হচ্ছে, এনাল ফিস্টুলার সর্বাধুনিক লেজার চিকিৎসা গ্রহণ। মূলত যারা বাংলাদেশে রয়েছেন এবং বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা পেতে চান তারা মাঝে মধ্যে প্রশ্ন করে থাকেন।
বাংলাদেশে অ্যানাল ফিস্টুলার সার্জারি করতে কত টাকা খরচ পরবে, এনাল ফিস্টুলা চিকিৎসার জন্য সেরা ডাক্তার কোথায় পাওয়া যাবে এবং ফিস্টুলা অপারেশন করলে সাধারণত কোন কোন সাইড ইফেক্ট এর সম্মুখীন হতে হতে পারে ইত্যাদি নানা বিষয় সম্পর্কে।
আর তাই আজকের নিবন্ধে আমরা আলোচনা করব ফিস্টুলা অপারেশন ও ফিস্টুলা অপারেশন খরচ সম্পর্কে এ টু জেড। ঢাকায় ফিস্টুলা অপারেশনের খরচ কত টাকা জানতে লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন:
(toc) #title=(এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা পড়ুন)
ফিস্টুলা অপারেশন খরচ কত
বাংলাদেশে ফিস্টুলা অপারেশন খরচ প্রায় ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে হ্যাঁ, ফিস্টুলা অপারেশনের খরচ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে কমবেশি হতে পারে। এক্ষেত্রে সার্জারির ধরন, সার্জিক্যাল কেয়ার এবং অন্যান্য আরও আনুষঙ্গিক বিষয় জড়িত। আর আপনি যদি ঢাকায় ফিস্টুলা অপারেশন করে থাকেন সেক্ষেত্রে ফিস্টুলা অপারেশন খরচ সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা হলেই সম্ভব।
তো পাঠক বন্ধুরা, এখন আসুন ফিস্টুলা অপারেশন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আরো কিছু বিষয় জেনে নেই। যারা সাধারণত ফিস্টুলা থেকে মুক্তির উপায়, কম খরচে ফিস্টুলা অপারেশন, ফিস্টুলা অপারেশন সাইড ইফেক্ট, বিনা অপারেশনে ফিস্টুলা চিকিৎসা এবং ফিস্টুলা অপারেশনের সেরা ডাক্তারদের নাম জানতে ইচ্ছুক তারা আর্টিকেলের পরবর্তী অংশটুকু পড়ুন। পাশাপাশি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আরও পড়তে পারেন নাকের হাড় বাঁকা অপারেশন করতে কত টাকা লাগে এবং কিডনিতে পাথর হলে অপারেশনের ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ পরে।
বাংলাদেশে এনাল ফিস্টুলা চিকিৎসার জন্য সেরা ডাক্তার
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এমন অনেক অভিজ্ঞ ডাক্তার রয়েছেন যারা ফিস্টুলা অপারেশন করিয়ে থাকেন। তবে আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা কয়েকজন বেস্ট অর্থাৎ জনপ্রিয় ডাক্তারের নাম সাজেস্ট করব যারা এনাল ফিস্টুলা চিকিৎসার জন্য সুপরিচিত।
- ডক্টর আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাহমুদুর
- ডঃ মুহাম্মদ শাহ আলম
- ডক্টর এম এ জলিল হাওলাদার
- ডক্টর রেশমা আজিজ
- ডক্টর স্বপন কুমার বিশ্বাস
- ডক্টর এ এস এম জাহিদুর রহমান
- ডক্টর আবু সাঈদ মোল্লা
- ডাঃ রোকসানা পারভীন
- ডক্টর এবিএম ইয়াসিন উল্লাহ
- ডক্টর সুস্মিতা সরকার
- ডঃ মোস্তফা আহমেদ চৌধুরী
- ডঃ মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন
- ডক্টর মোহাম্মদ ফারহাদ বিন সিদ্দিক
- ডঃ মোঃ ফাহিম ফেরদৌস
- ডঃ শামীমা নাসরিন
- ডক্টর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ
আর আপনি যদি এই প্রত্যেকটি ডাক্তার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সকল ইনফরমেশন পেতে চান এবং বুক অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে চান সেক্ষেত্রে সরাসরি ভিজিট করুন (এখানে ভিজিট করুন) আমাদের সাজেস্টকৃত লিংকে। পাশাপাশি আরও দেখুন, ঢাকার সেরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ মাধ্যম বা ঠিকানা। এখানে মূলত ঢাকার সবচেয়ে পরিচিত মুখ ও সার্জনঅভিজ্ঞ ডাক্তারদের নাম এবং চেম্বারের ঠিকানা উল্লেখ করা হচ্ছে।
১। ডাঃ আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাহমুদুর
তিনি একজন বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ জেনারেল সার্জন, ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন, প্রক্টোলজিস্ট এবং লেজার বিশেষজ্ঞ যার ৪৬ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি নিম্নলিখিত সমস্যা গুলির জন্য চিকিৎসা প্রদান করেন - পাইলস, ফিসার, ফিস্টুলা, ফোড়া, পিলোনিডাল সাইনাস এবং অন্যান্য অবস্থার জন্য। আর তাই এই ডাক্তারের কাছে অগ্রিম অ্যাপোয়েনমেন্ট নেয়ার জন্য এখানে ভিজিট করুন।
২। অধ্যাপক ডাঃ জাহিদুর রহমান
তিনি একজন বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ জেনারেল, ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন এবং অ্যাডভান্সড লেজার প্রক্টোলজিস্ট, যার সার্জারির ক্ষেত্রে ২২ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি বাংলাদেশে প্রক্টোলজিতে লেজার ব্যবহারে অগ্রগামী এবং দীর্ঘ সময় ধরে তার কর্মজীবনে তরুণ সার্জনদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন।
তিনি পাইলস, ফিসার, ফিস্টুলা, অ্যাবসেস, পিলোনিডাল সাইনাস, অ্যাম্বিলিক্যাল হার্নিয়া, ইনগুইনাল হার্নিয়া, ইনসিশনাল হার্নিয়া, গলস্টোন, জেনারেল এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি এবং লেজার সার্জারির মতো রোগের অস্ত্রোপচারের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে তিনি লুবানা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টার, সেক্টর-১৩, উত্তরা, ঢাকায় যুক্ত আছেন। আর তাই এই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে অগ্রিম অ্যাপোয়েনমেন্ট নিতে এখানে ভিজিট করুন।
৩। ডাঃ রুকসানা পারভিন
তিনি একজন বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ জেনারেল সার্জন, ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন এবং প্রক্টোলজিস্ট যার ২০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি জেনারেল, প্রক্টোলজি, ল্যাপারোস্কোপি এবং স্তন সার্জারিতে বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে ডাঃ রুকসানা পারভিন ঢাকার প্রিস্টিন কেয়ার ক্লিনিকে কাজ করছেন। তিনি নিম্নলিখিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন - পাইলস, ফিসার, ফিস্টুলা, ফোড়া, নাভির হার্নিয়া, ইনগুইনাল হার্নিয়া, ইনসিসনাল হার্নিয়া, হায়টাস, পিত্তথলি, পাইলোনিডাল সাইনাস, মলদ্বার পলিপস, মলদ্বার ওয়ার্টস, রেকটাল প্রল্যাপস এবং অন্যান্য অবস্থার। ডাঃ রোকসানা পারভিন এর কাছে অগ্রিম অ্যাপোয়েনমেন্ট নিতে এখানে ভিজিট করুন।
৪। ডাঃ মোহাম্মদ ফাহিম ফেরদৌস
তিনি একজন বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ জেনারেল সার্জন, ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন, প্রক্টোলজিস্ট যার ১৩ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ল্যাপারোস্কোপি, প্রক্টোলজি, পাইলোনিডাল সাইনাস, ইউরোলজি, ভাস্কুলার বিশেষজ্ঞ।
বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামের প্রিস্টিন কেয়ার ক্লিনিকে অনুশীলন করছেন। তিনি নিম্নলিখিত রোগের জন্য চিকিৎসা প্রদান করেন - পাইলস, ফিসার, ফিস্টুলা, অ্যাবসেস, পাইলোনিডাল সাইনাস, ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচার, ইরেক্টাইল ডিসফাংশন, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স, ব্যালানিটিস, ফিমোসিস, প্যারাফিমোসিস, অ্যাম্বিলিক্যাল হার্নিয়া, ইনগুইনাল হার্নিয়া, ইনসিশনাল হার্নিয়া, হাইটস ব্যারিয়াট্রিক্স এবং হাইড্রোসিল। ডাঃ মোহাম্মাদ ফাহিম ফেরদৌস এর কাছে অগ্রিম অ্যাপোয়েনমেন্ট নিন এখানে ভিজিট করে।
৫। ডাঃ শামীমা নাসরিন
তিনি একজন বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ জেনারেল সার্জন, ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন এবং প্রক্টোলজিস্ট যার ১২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ইউরোলজি, প্রক্টোলজি, ল্যাপারোস্কোপিতে বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে, তিনি চট্টগ্রামের প্রিস্টিন কেয়ার ক্লিনিকে অনুশীলন করছেন। তিনি নিম্নলিখিত রোগের জন্য চিকিৎসা প্রদান করেন:
মেশ হার্নিওপ্লাস্টি, ইনগুইনাল হার্নিয়ার ওপেন সিউচার মেরামত, হাইড্রোসিল অপারেশন, ক্রনিক অ্যানাল ফিসার, রেকটাল প্রোল্যাপস, পেরিয়ানাল অ্যাবসেস (ছেদন এবং নিষ্কাশন), পেরিয়ানাল ফিস্টুলা (ফিস্টুলোটমি, ফিস্টুলেক্টমি), হেমোরয়েড হেমোরয়েড এবং হেমোরয়েড , ফাইব্রোডেনোমা এনকিউলিয়েশন, এডি সহ সাধারণ মাস্টেক্টমি, গাইনেমাস্টিয়া সার্জারি, খতনা, লাইপোমা সার্জারি, সেবাসিয়াস সিস্ট সার্জারি, নেইল অ্যাভালশন সার্জারি, পায়ের আঙুলের বিচ্ছেদ, হাঁটুর উপরে, হাঁটুর নীচে অ্যাম্পুশন, অ্যাপেন্ডোস্টোমি, কোলোস্টোমি, কোলরোটোমি, স্পেলটোমি, আই. মেরামত , অন্ত্রের অ্যানাস্টোমোসিস, মূত্রাশয়ের আঘাত মেরামত, টিউব থোরাকোস্টমি, ল্যাপচোল এবং অন্যান্য অবস্থার। ডাঃ শামীমা নাসরিন এর কাছে অগ্রিম অ্যাপোয়েনমেন্ট নিন এখানে ভিজিট করে।
৬। ডঃ মুহাম্মদ আনিসুর রহমান – সার্জারি, জেনারেল, ল্যাপারোস্কোপিক, ব্রেস্ট ও কোলোরেক্টাল সার্জারী বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগের ঠিকানা হাউজ ২৪, রোড ৮, ব্লক এ, বকশীগঞ্জ টাওয়ার, মিরপুর ১২ এবং মোবাইল নম্বর ০১৭৪০৪৮৬১২৩। সেই সাথে আপনি চাইলে সরাসরি ডঃ মুহাম্মদ আনিসুর রহমানের facebook প্রোফাইল দেখে আসতে পারেন। এর জন্য ভিজিট করুন এখানে।
৭। ডঃ তনিমা আহমেদ তনু – ইনি হলেন জেনারেল ল্যাপারোস্কেপিক ব্রেস্ট ও কোলোরেক্টাল সার্জারি বিশেষজ্ঞ, আপনি যদি এই ডাক্তারকে ফিস্টুলা অপারেশনের জন্য নির্বাচন করতে চান তাহলে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৪০৪৮৬১২৩ এই নম্বরে অথবা সরাসরি যেতে পারেন– হাউজ ২৪, রোড ৮, ব্লক এ, বকশীগঞ্জ টাওয়ার, মিরপুর ১২ ঠিকানায়।
৮। ড: মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম – ডায়াবেটোলজিস্ট, জেনারেল সার্জন, সার্জারি এবং অ্যাজমা বিশেষজ্ঞ। এই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগের ঠিকানা– ৬১৩/২, বেগম রোকেয়া সরণি (সোনালী ব্যাংকের বিপরীতে, হাতিল ফার্নিচারের ২০০ গজ দক্ষিণে) কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৭ এবং মোবাইল নম্বর ০১৭৪০৪৮৬১২৩।
৯। ঢাকার পাইলস ও পায়ু পদ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সহকারী অধ্যাপক ডক্টর এ কে এম শামসুদ্দিন। যার চেম্বারের ঠিকানা হাউজ ২৪, রোড 8, ব্লক এ, বকশীগঞ্জ টাওয়ার, মিরপুর ১২ এবং যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর ০১৭৪০৪৮৬১২৩।
১০। সহকারি অধ্যাপক ডঃ নীলিমা জাহান – ইনিও একজন পায়ুপথ বিশেষজ্ঞ। এই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগের ঠিকানা ১৫০, বেগম রোকেয়া সরণী, সেনপাড়া পর্বতা, মিরপুর-১০, ঢাকা-১২১৬ এবং টেলিফোন নম্বর ০১৭৪০৪৮৬১২৩।
আর হ্যাঁ, সিরিয়াল পেতে অবশ্যই উল্লেখিত ফোন নাম্বারে সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে যোগাযোগ করবেন।
ফিস্টুলা অপারেশন সাইড এফেক্টস
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফিস্টুলা চিকিৎসায় অপারেশন করার প্রয়োজন পড়ে। কেননা পায়ুপথের এই সমস্যাটি যদি কখনো হয়ে থাকে তাহলে পুরোপুরি ভালো করতে অপারেশনের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে মূলত রোগীর অবস্থানের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের অপারেশন করা হয়ে থাকে। বলতে পারেন চারটি নিয়ম বা পদ্ধতিতে অপারেশন করা হয়। সেগুলো হলো –
- ফিস্টুলোটোমি
- সেটন পদ্ধতি
- অ্যাডভান্সমেন্ট এনাল ফ্ল্যাপ
- লিফট পদ্ধতি
আর এই প্রত্যেকটি পদ্ধতিরই কিছু না কিছু অসুবিধা রয়েছে। আমরা জানি সাধারণত প্রত্যেকটি ওষুধের অল্পস্বল্প সামান্য কিছু হলেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে থাকে। যেগুলোকে আমরা ক্ষতিকর দিক, সাইড ইফেক্ট অথবা অসুবিধা হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকি। মূলত ফিস্টুলা অপারেশনের ক্ষেত্রেও আপনি যে পদ্ধতিতেই অপারেশন গ্রহণ করেন না কেন এর বেশ কিছু অসুবিধা দেখা দিতে পারে। সাধারণত অপারেশনের পর যে সব অসুবিধা আপনার মাঝে দেখা দিতে পারে সেগুলো হলো–
ইনফেকশন: ফিস্টুলার অপারেশনের পর অনেকেরই অ্যান্টিবায়োটিক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ইনফেকশন জনিত সমস্যা দেখা দেয়।
মলত্যাগের সমস্যা: সাধারণত ফিস্টুলা অপারেশন করার পরবর্তীতে বেশিরভাগ রোগীরা পায়খানার চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। যেটা একটা অসুবিধা অর্থাৎ সাইড এফেক্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
পুনরায় সমস্যাটি ফিরে আসা অর্থাৎ পুনরায় ফিস্টুলা ফিরে আসা: যে বা যারা ফিস্টুলার অপারেশন করে থাকেন তাদের অনেকেরই এই সমস্যাটি পুনরায় ফিরে এসেছে। মানে যে স্থানে ফিস্টুলার আবির্ভাব ঘটে সেখানে অপারেশন করার পরবর্তীতে ওই জায়গাতে বা ওই জায়গার আশেপাশে নতুন করে ফিস্টুলা দেখা দেয়।
ফিস্টুলা পুনরায় ফিরে আসার কারণে আবারও নতুন আকারে সমস্যাগুলো দেখা দেয়। মূলত এগুলোই এনাল ফিস্টুলার ক্ষতিকর বা অসুবিধাজনক দিকসমূহ। আশা করি, যারা ফিস্টুলা অপারেশন এর সাইড ইফেক্ট সমূহ জানতে চান তাদের কাছে এ বিষয়টি সুস্পষ্ট।
বাংলাদেশে অ্যাডভান্সড লেজারের মাধ্যমে অ্যানাল ফিস্টুলার চিকিৎসা | কম খরচে ফিস্টুলা অপারেশন
যাদের ফিস্টুলা হয়ে থাকে তাদের জীবনে অবশ্যই অপারেশন করার প্রয়োজন পড়বে। কেননা ইতোমধ্যে আমরা উল্লেখ করেছি ফিস্টুলার একমাত্র চিকিৎসা অপারেশন। তবে আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা বাংলাদেশে এডভান্স লেজারের মাধ্যমে এনাল ফিস্টুলার চিকিৎসা কোথায় গ্রহণ করতে পারবেন এবং কিছু ডাক্তারের ফোন নাম্বার সংযুক্ত করার পূর্বে জানাবো এনাল ফিস্টুলার লক্ষণ সমূহ এবং এনাল ফিস্টুলার সমস্যার কারণ সমূহ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়াবলি।
এনাল ফিস্টুলা হওয়ার কারণ - এনাল ফিস্টুলার সমস্যা কেন দেখা দেয়: যে সকল মানুষের মলদ্বারের আশেপাশে ফোড়া জাতীয় কিছু বের হয় সাধারণত তার থেকেই উৎপত্তি হয় ফিস্টুলা নামক রোগের। পাশাপাশি টিবি বা এইডস জনিত রোগে আক্রান্ত থাকলে, ক্রনস ডিজিজ এর সমস্যার কারণে, ডাইভার্টিকুলাইটিস অথবা মলদ্বারের অপারেশনের কারণে কিংবা হাইড্রাডেনাইটিস সুপুরাটিভার সহ আরো কিছু কারণ কে কেন্দ্র করে এনাল ফিস্টুলা হয়ে থাকে।
মূলত এক্ষেত্রে লক্ষণ হিসেবে যেগুলো প্রকাশ পায় সেগুলো হলো –
- মলদ্বারের আশেপাশে জ্বালা অনুভব
- মলদ্বারের আশেপাশে ব্যথা অনুভব
- মলদ্বারের আশেপাশে থেকে দুর্গন্ধযুক্ত পুজ বের হওয়া
- পায়খানার সাথে পোজ অথবা রক্ত বের হয়ে আসা
- পায়খানার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারা
তো আপনার মধ্যে যদি এই লক্ষণ গুলো একের অধিক মাত্রায় প্রকাশ পেয়ে থাকে তাহলে দেরি না করে এখনই চিকিৎসকের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করুন। কেননা আপনি চাইলে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন ফিস্টুলা থেকে মুক্তির উপায়। কেননা এটি খুবই জটিল একটি সমস্যা, কিন্তু প্রাথমিক অবস্থাতেই যদি সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা যায় তাহলে খুব সহজেই মুক্তি মেলা সম্ভব।
তো যাই হোক, যদি আপনি অথবা আপনার পরিচিত কেউ ইতিমধ্যে এনাল ফিস্টুলার সমস্যায় ভুগতে থাকেন তাহলে আমাদের উল্লেখিত ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ করুন। আর হ্যাঁ, আপনি যদি ঢাকায় ফিস্টুলা অপারেশন করাতে চান তাহলে এখনই যোগাযোগ করুন ০১৭৪০৪৮৬১২৩ এই নম্বরে।
ফিস্টুলা রোগীর খাবার
ফিস্টুলা রোগীদের জন্য খাদ্যতালিকা এমন খাবার নিয়ে গঠিত হওয়া উচিত যা হজম করা সহজ এবং মল নরম করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর ফাইবার, তরল জাতীয় খাবার এবং প্রোবায়োটিক থাকা উচিত। এছাড়াও নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম করতে হবে।
ফিস্টুলা রোগীর জন্য কিছু খাবার সম্পর্কে এখানে তুলে ধরা রয়েছে:
ফাইবারযুক্ত খাবার: ফাইবার মলকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং এটি পাস করা সহজ করে তোলে। ফাইবারযুক্ত ভালো খাবারের মধ্যে রয়েছে ফল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য। কারো কারো ক্ষেত্রে শাকসবজি খেতে সমস্যা হয়। তাই এর পরিবর্তে ইসুবগুলের ভুসি খেতে পারেন। ইসুবগুলের ভুসি দুই চামচ পানিতে ভিজিয়ে সাথে সাথে খেয়ে ফেলবেন।
তরল জাতীয় খাবার: তরল পদার্থ মলকে নরম রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি, পানীয় এবং স্যুপ পান করার লক্ষ্য রাখুন।
প্রোবায়োটিকস: প্রোবায়োটিকস হল ভাল ব্যাকটেরিয়া যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে দই, কেফির এবং সয়রক্রাউট জাতীয় খাবার।
আরো পড়ুন: ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ফিস্টুলা রোগীর জন্য নাস্তা খাবার
ফিস্টুলা রোগীদের জন্য নাস্তা নির্বাচন করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন। নাস্তা হালকা, পরিপাকযোগ্য এবং পুষ্টিকর হওয়া উচিত। এছাড়াও, নাস্তায় এমন খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় সাহায্য করে এবং ফিস্টুলার লক্ষণগুলি ভালো করতে সহায়তা করে। নিম্নোক্ত খাবার গুলো অনেক উপকারী একজন ফিস্টুলা রোগীর জন্য:
ওটমিল: ওটমিল ফাইবার সমৃদ্ধ এবং এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় সাহায্য করে। এটি পরিপাক করতেও সহজ।
ফল: ফল ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের একটি ভালো উৎস। পেঁপে, আপেল, কলা, নাশপাতি ফিস্টুলা রোগীদের জন্য ভালো।
দই: দই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ, যা হজম উন্নত করতে সাহায্য করে।
ডিম: ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনাকে পূর্ণ রাখতে সাহায্য করে।
সবুজ শাকসবজি: সবজি ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। ফিস্টুলা রোগীদের জন্য পালং শাক, লাউ শাক, এবং ব্রকলি ভালো।
বাদাম: বাদাম ফাইবার এবং প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। বাদাম, আখরোট, এবং চিনাবাদাম ফিস্টুলা রোগীদের জন্য ভালো।
স্যুপ: স্যুপ তরল এবং পরিপাক করতে সহজ। মুরগির স্যুপ, সবজি স্যুপ, এবং ডালের স্যুপ ফিস্টুলা রোগীদের জন্য ভালো।
বাদামী ভাত: বাদামী ভাত ফাইবারের একটি ভালো উৎস, যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। এটি ভিটামিন এবং খনিজগুলিরও একটি ভালো উৎস, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
খিচুড়ি: খিচুড়ি হালকা এবং পরিপাক করতে সহজ। মুগ ডালের খিচুড়ি এবং মসুর ডালের খিচুড়ি ফিস্টুলা রোগীদের জন্য ভালো।
রুটি: রুটি ফাইবার সমৃদ্ধ এবং এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে সাহায্য করে।
চা: চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত খাবেন না।
ফিস্টুলা রোগী কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন
অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার: তেলযুক্ত খাবার পরিপাক করতে কঠিন এবং এটি ফিস্টুলার সমস্যা আরো খারাপ করতে পারে।
মসলাযুক্ত খাবার: মসলাযুক্ত খাবার পেট খারাপ করতে পারে এবং ফিস্টুলার লক্ষণগুলি আরও খারাপ করতে পারে।
ক্যাফেইন: ক্যাফেইন ডিহাইড্রেশন হতে পারে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য আরও খারাপ করতে পারে।
অ্যালকোহল: অ্যালকোহল পেট খারাপ করতে পারে এবং ফিস্টুলার লক্ষণগুলি আরও খারাপ করতে পারে।
এখানে কিছু টিপস রয়েছে যা ফিস্টুলা রোগীরা তাদের খাদ্যতালিকা অনুসরণ করতে সাহায্য করতে পারে:
- নিয়মিত খাবার এবং নাস্তা খান। ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন।
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন।
- একসাথে প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার পরিবর্তে দিনের বেলায় আপনার খাবার ছোট ছোট করে ভাগ করুন।
- প্রচুর পরিমাণে মাছ খেতে পারেন।
- খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে।
- অতিরিক্ত খাসি কিংবা গরুর মাংসা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ক্যাফিন এবং অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন, যা কোষ্ঠকাঠিন্যকে আরও খারাপ করতে পারে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
আপনার যদি ফিস্টুলা থাকে তবে আপনার জন্য সঠিক খাদ্য সম্পর্কে আপনার ডাক্তার বা নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ানের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনাকে একটি ব্যক্তিগতকৃত খাদ্যতালিকা তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে যা আপনার নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণ করবে।
বিঃদ্রঃ: এই তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য। আপনার ফিস্টুলা রোগের তীব্রতা অনুযায়ী খাদ্য তালিকা পরিবর্তিত হতে পারে। আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে আপনার জন্য উপযুক্ত খাদ্য তালিকা তৈরি করুন।
ফিস্টুলা অপারেশনের পর করণীয়
ফিস্টুলা অপারেশনের পর, আপনার দ্রুত সুস্থ হতে এবং জটিলতা এড়াতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
অপারেশনের প্রথম ৪৮ ঘন্টায় করণীয়
- বিশ্রাম নিন: অপারেশনের পর প্রথম ৪৮ ঘন্টা বা ২ দিন বিছানায় বিশ্রাম নিন।
- ব্যথা নিয়ন্ত্রণ: ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনার ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসারে ওষুধ খান।
- বরফ সেঁক: ব্যথা এবং ফোলাভাব কমাতে অপারেশনের স্থানে বরফ সেঁক দিন।
- খাদ্য: হালকা, সহজপাচ্য খাবার খান। প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার পান করুন।
- প্রস্রাব: প্রস্রাবের ব্যাগ ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত খালি করুন।
- মলত্যাগ: কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন এবং ফাইবারযুক্ত খাবার খান।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: অপারেশনের স্থান পরিষ্কার এবং শুষ্ক রাখুন।
ফিস্টুলা অপারেশনের ৪৮ ঘণ্টা পর করণীয়
- হাঁটাচলা: ধীরে ধীরে হাঁটাচলা শুরু করুন।
- গোসল: ৪৮ ঘন্টা পর ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে গরম পানিতে গোসল করতে পারেন।
- কাজকর্ম: ভারী কাজ এড়িয়ে চলুন।
- চেক-আপ: নিয়মিত ডাক্তারের কাছে চেক-আপ করান।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
- ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান ক্ষত নিরাময়কে বিলম্বিত করতে পারে।
- মদ্যপান এড়িয়ে চলুন: মদ্যপান জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
- ওষুধ: ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসারে নিয়মিত ওষুধ খান।
- জ্বর: জ্বর হলে ডাক্তারকে জানান।
- রক্তপাত: অতিরিক্ত রক্তপাত হলে ডাক্তারকে জানান।
- কোষ্ঠকাঠিন্য: কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা এড়াতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন এবং ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ফিস্টুলা অপারেশনের পর সুস্থ হতে সময় লাগে। ধৈর্য ধরুন এবং আপনার ডাক্তারের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
কিছু দরকারী টিপস
- আপনার অপারেশনের স্থানে নজর রাখুন এবং কোনও সংক্রমণের লক্ষণ (লালভাব, ফোলাভাব, ব্যথা, পুঁজ) দেখা গেলে ডাক্তারকে জানান।
- পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম নিন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
আরও তথ্যের জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
সম্পর্কিত প্রশ্নাবলী - FAQ
তো পাঠক বন্ধুরা, আজকে আমরা বাংলাদেশে ফিস্টুলা অপারেশন খরচ কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে আলোচনা করলাম। এখন আসুন আরো জেনে নেই- চোখের ছানি অপারেশনের পর করণীয় কাজ এবং পাইলস অপারেশন খরচ সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে। সেই সাথে ফিস্টুলা অপারেশন সম্পর্কিত বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও তার উত্তর সমূহ।
১. বিনা অপারেশনে ফিস্টুলা চিকিৎসা
উত্তর: বিনা অপারেশনের মূলত ফিস্টুলার কোন চিকিৎসা নেই। আর তাই অপারেশন হচ্ছে এই সমস্যা থেকে বাঁচার সর্বোত্তম চিকিৎসা পদ্ধতি।
২. ফিস্টুলা অপারেশন কিভাবে করা হয়?
উত্তর: ফিস্টুলা অপারেশন মূলত লেজার ফিস্টুলা সার্জারির মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এটি একটি কাটা ছেঁড়া জনিত সার্জারি। মূলত রক্ত পুচ ও সংক্রামিত টিস্যু অপসারণের জন্য ফিস্টুলা অপারেশন করতে হয়। সংক্রমিত ও ক্ষতিকর এই পদার্থগুলো বের করে সঠিক পদ্ধতিতে ধীরে ধীরে ফিস্টুলার নালি বন্ধ করে লেজার প্রব প্রবেশ করানোর মধ্য দিয়ে ফিস্টুলা অপারেশন করা হয়।
৩. ফিস্টুলা হলে কি কি খাওয়া যাবেনা?
উত্তর: ফিস্টুলা হলে সাধারণত চা কফি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া সর্বোত্তম। এছাড়াও আমিষ খাবার টক জাতীয় খাবার এবং অতিরিক্ত পরিমাণে ঝাল জাতীয় খাবারগুলো খাওয়া যাবেনা। এমন কিছু খাবার খেতে হবে যেগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত বা বদহজমের সমস্যার সৃষ্টি করবে না এবং মলদ্বারের আশপাশে জ্বালাপোড়ার কারণ হবে না।
৪. অপারেশন ছাড়া কি ফিস্টুলা ভালো হয়?
উত্তর: না, অপারেশন ছাড়া ফিস্টুলা ভালো হয় না।
৫. ফিস্টুলার সবচেয়ে সফল চিকিৎসা কি?
উত্তর: ফিস্টুলার সবচেয়ে সফল চিকিৎসা হচ্ছে ফিস্টুলোটমি।
৬. ফিস্টুলার চিকিৎসা কি ঔষধ দিয়ে করা যায়?
উত্তর: যদি শুরুর দিকে চিকিৎসা গ্রহণ করা হয়ে থাকে তাহলে ফিস্টুলার চিকিৎসা কখনো কখনো এন্টিবায়োটিক ওষুধের দ্বারা করা হয়ে থাকে। কিন্তু ফিস্টুলা জনিত সমস্যাটাকে পুরোপুরিভাবে বন্ধ করার জন্য অবশ্যই সার্জারির সহযোগিতা নিতে হয়।
৭. ফিস্টুলোটমির সাফল্যের হার কত?
উত্তর: অ্যানাল ফিস্টুলার অন্যতম সবচেয়ে কার্যকর ও সফল চিকিৎসা হল ওপেন ফিস্টুলোটোমি, যেখানে সাফল্যের হার ৮৭-৯৪%। লেজার সার্জারি তুলনামুলকভাবে নিরাপদ এবং লেজার ফিসচুলোটোমির সাফল্যের হার প্রায় ৯৫-৯৯% হয়।
৮. এনাল ফিস্টুলার সার্জারির পর কিভাবে আরো ভালোভাবে আরোগ্য লাভ করা যায়?
উত্তর: সার্জারি অর্থাৎ অপারেশন এর পরবর্তীতে যথাযথ বিশ্রাম নিয়ে, খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন এনে এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে খুব দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব হয়।
৯. এনাল ফিস্টুলার সার্জারির জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়?
উত্তর: অপারেশন অর্থাৎ এনাল ফিস্টুলার সার্জারি জন্য রোগীকে ঢেলে ঠেলায় প্রসাব করতে হয়, সার্জারি আগের দিন মধ্যরাতে খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয় এবং ধূমপান জনিত বদভ্যাস থাকলে সেগুলো বাদ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এক কথায় চিকিৎসকরা যে পরামর্শ গুলো দিয়ে থাকেন সেগুলো মেনে চলার মাধ্যমে এনাল ফিস্টুলার সার্জারির জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়।
১০. এনাল ফিস্টুলা গঠনকে কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
উত্তর: স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং সঠিক সুষম খাদ্যাভাস ও নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে এনাল ফিস্টুলা গঠনকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। মূলত আমাদের প্রত্যেকেরই সব সময় বায়ু অঞ্চলে শুষ্কতা বজায় রাখা উচিত।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।