টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে কি হয় - ছেলেদের বয়স ৩০ বছর পার হওয়ার পর থেকে টেস্টোস্টেরন লেভেল কমতে থাকে প্রতিবছর ১% করে এটা হচ্ছে খুব নরমাল একটা ব্যাপার।
কিন্তু কারো টেস্টোস্টেরন লেভেল যদি ৩০০ ন্যানোগ্রাম পার ডেসিলিটারের নীচে চলে আসে এবং এইটা ২টা ভিন্ন সময়ে টেস্ট করে একই রকম দেখা যায় এবং তার সাথে তাঁর শরীরে টেস্টোস্টেরন কমার যে লক্ষণ গুলো আছে সেগুলোও প্রকাশ পায় তাহলে তাঁকে বলা হয় যে তাঁর টেস্টোস্টেরন লেভেল কম।
চলুন দেখা যাক, টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে ছেলেদের শরীরে কী কী লক্ষণ দেখা যায় আর টেস্টেসটেরোন হরমোন বাড়ানোর উপায় কী?
(toc) #title=(এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা পড়ুন)
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে কি হয়
শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার কারণে নিম্নোক্ত সমস্যা গুলো দেখা দেয়। যথা:
- দুর্বলতা বা শরীরে শক্তি কমে আসা
- শরীরে মাসল ম্যাস কমে আসা
- পেটে চর্বি জমা বা ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া
- ডিপ্রেশন
- কাজের মোটিভেশন কমে আসা
- মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যা হওয়া
- ইরিটেবিলিটি
- ইন্টারকোর্স রিলেটেড ইস্যু (গোপন সমস্যা)
১। দুর্বলতা বা শরীরে শক্তি কমে আসা
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে শরীরে দুর্বলতা দেখা দেয় বা শক্তি কমে আসা। যেরকম হতে পারে আপনি আগে চাইলেই ১০ কেজি বা ২০ কেজি ওজন তুলে ফেলতে পারতেন এক হাতে। কিন্তু এখন আপনি চাইলে আর পাঁচ কেজি ওজন ও সঠিক ভাবে তুলতে পারেন না বা তুলতে আপনার অনেক কষ্ট হয়।
২। শরীরে মাসল ম্যাস কমে আসা
শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে মাসলের ম্যাস কমে আসা মানে মাসলের পরিমাণ কমে আসা। আমরা যখন নরমালি ওজন পরিমাপ করি তখন সেখানে আমরা যেটা দেখতে পাই সেটা হচ্ছে আমাদের পুরো শরীরের ওজন। এখানে চর্বির ওজন আছে, মাসলের ওজন আছে, হারের ওজন আছে এবং আরও বিভিন্ন জিনিসের ওজন আছে। তো এই টোটাল ওজন আর মাসল ম্যাস যেটা এটাকে মিলিয়ে ফেললে হবে না।
৩। পেটে চর্বি জমা বা ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া
টেস্টেস্টোরন লেভেল কমার কারণে পেটেও চর্বি জমে। আপনারা অনেক সময় খেয়াল করে দেখবেন যাঁদের বয়স ৫০ পার হয়ে গেছে, অনেক সময় তাঁদের পেটটা শরীরের তুলনায় একটু বেশি বড়। এটার একটা কারণ হচ্ছে টেস্টোস্টেরন লেভেল যেহেতু ঐ বয়সে গিয়ে অনেক কমে আসে যার জন্য ভুঁড়িও বেড়ে যেতে পারে। এটা অবশ্য আরো একটু আগে থেকেই শুরু হয়।
৪। ডিপ্রেশন
টেস্টোস্টেরন কমার কারণে মানুষ ডিপ্রেশনেও চলে যেতে পারে। এই ব্যাপারটা আসলে অনেক সময় বোঝা যায় না যে ব্যক্তি ডিপ্রেশনে আছে সে অনেক সময় টের পায় না যে ডিপ্রেশনে আছে। তো এটার একটা সিম্পল উদাহরণ হচ্ছে যে আপনার মন খারাপ কিন্তু আপনি জানেন না যে কেন আপনার মন খারাপ।
৫। কাজের মোটিভেশন কমে আসা
ধরেন আপনি একটা কাজ করতে খুবই পছন্দ করেন যেটা আপনার হাতে আসলে আপনি খুব দ্রুত করে শেষ করে ফেলেন। কিন্তু কোনো একটা কারণে ওই কাজটা এখন আর আপনার করতে ভালো লাগছে না। এই যে আপনার মোটিভেশন কমে আসছে এই কাজটা করার জন্য এটাও টেস্টেস্টোরন কমার একটি লক্ষণ হতে পারে।
৬। মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যা হওয়া
মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যা হওয়া বা মেমোরি ধরে রাখতে সমস্যা হওয়া। আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে ব্যাপারটা বোঝা সহজ হবে। ধরুন আপনি একটি নতুন টপিক পড়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আপনার মনোযোগ কোনও ভাবেই একদিকে থাকছে না এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করছে মাথায় অন্য চিন্তা আসছে। আবার ধরুন আপনি ১টি জিনিস পড়লেন। এই জিনিসটা আমার দুঘন্টা পরে আপনি ভুলে গেলেন। তো এই ঘটনাগুলো টেস্টোস্টেরন কম হওয়ার কারণে হতে পারে।
৭। ইরিটেবিলিটি
এই ব্যাপারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আপনার আশপাশের মানুষদের জন্য। ব্যাপারটা হচ্ছে এরকম ধরেন একজন মানুষ একটা কাজ করলো ঐ কাজটা কিন্তু ভুল না কিন্তু কোনও কারণে আপনি কাজটা পছন্দ করছেন না। আপনি তার ওপর রেগে গেলেন বা তার সাথে অনেক কড়া ভাষায় কথা বললেন। অথবা আপনি কোনও কারণ ছাড়াই রেগে যাচ্ছেন আপনি নিজেও জানেন না যে কেন আপনি রেগে যাচ্ছেন এটা হচ্ছে ইরিটেবিলিটি।
অণ্ডকোষ ছোট হতে পারে: স্বাভাবিক আকারের তুলনায় যদি অণ্ডকোষ ছোট মনে হয় তাহলে আপনার হরমোনের মাত্রা টেস্ট করানো উচিত। কেননা, টেস্টোস্টেরন এর অভাবে অণ্ডকোষ এবং আপনার বিমানের আকার অর্থাৎ দুটোই ছোট হয়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুন: টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায় কেন
৮। ইন্টারকোর্স রিলেটেড ইস্যু (গোপন সমস্যা)
অনেকেই এই ব্যাপারটি জন্য জানার জন্য অপেক্ষা করছেন তা হচ্ছে ইন্টারকোর্স রিলেটেড ইস্যু। একথাটা আমি কেন বললাম এতদিন পর্যন্ত যারা টেস্টোস্টেরন সম্পর্কিত আর্টিকেল বা ভিডিও বানিয়েছেন, তাঁরা ব্যাপারটাকে এমনভাবে প্রেজেন্ট করেছেন যে টেস্টোস্টেরন মানেই হচ্ছে ইন্টারকোর্স রিলেটেড হেল্প করবে।
তো এটা করার কারণ হতে পারে যে মানুষের ইন্টারকোর্সের প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি। এভাবে প্রেজেন্ট করলে ভিডিও অথবা আর্টিকেল ভাইরাল হবে বেশি। এতে সমস্যার কিছু নেই। একটু খানি সমস্যা যেটা রয়ে গেছে সেটা হচ্ছে মানুষ এখন টেস্টোস্টেরন তাকে শুধুমাত্র ইন্টারকোর্স এর সাথে রিলেট করতে পারছে। কিন্ত যে আরো অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র রয়ে যাচ্ছে। সেগুলো কখনো জানানো হচ্ছে না তা জানতেও পারছে না। এই জন্য আমি ওই ইস্যুগুলোকে শুরুতে বললাম, এখন এটার সম্পর্কেও বলব।
টেস্টোস্টেরোন কমে যাওয়ার কারণে সে *ক্স ড্রাইভ কমে যেতে পারে। মানে ইন্টারকোর্সের যে আকাঙ্খা বা চাহিদা এটা কমে আসতে পারে। ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হতে পারে, মানে বিমান উড্ডয়নে সমস্যা হতে পারে। এছাড়া ইনফার্টিলিটি হতে পারে মানে স্পার্ম প্রোডাকশন কমে আসতে পারে বা বাবা হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসতে পারে।
আরো পড়ুন: টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঔষধের নাম
টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ানোর উপায়
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে কি হয় জানার পর এখন আমরা জানব টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ানোর উপায় গুলো কি কি সে সম্পর্কে।
- ব্যায়াম করা
- জীবন থেকে স্ট্রেস কমাতে হবে
- পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম
- শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ
- খাবারে মনোযোগ দিতে হবে
- ডিম টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে
- ডালিম
১। ব্যায়াম করা
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির সবথেকে কার্যকর উপায় হচ্ছে ব্যায়াম করা। একটা গবেষণা করা হয় ৪১ জন পুরুষ মানুষের উপর এঁরা ছিলেন মোটা মানুষ। এই গবেষণায় দেখা হয় ব্যায়াম করলে কি টেস্টোস্টেরন লেভেল বাড়ে কিনা? এছাড়া আরো দেখা হয় খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ কমিয়ে দিলেও কি টেস্টোস্টেরনের উপর কোনো প্রভাব পড়ে কিনা।
ফলাফলে যেটা দেখা যায় ব্যায়াম করার ফলে টেস্টোস্টেরন লেভেল সিগনিফিক্যান্টলি বেড়ে যায়। আর খাবারে ক্যালোরি কমানোর ফলেও টেস্টোস্টেরন লেভেল কিছুটা বাড়ে কিন্তু তেমন সিগনিফিক্যান্টলি না।
ব্যায়ামের মধ্যে আবার রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং মানে ওয়েট লিফটিং যেটা আপনি কোনও কিছু ধরে ভর উত্তোলন করছেন। এটাতে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে টেস্টোস্টেরন বাড়ে। এছাড়াও হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভ্যাল ট্রেনিং মানে হিট টেস্টোস্টেরন বাড়ানোর জন্য খুবই কার্যকর।
এই হিট করবেন কীভাবে? আপনি ধরেন একটা মাঠে গেলেন সেখান থেকে আপনি একটা দৌড় দিলেন আপনি যত জোরে পারেন দৌড় দেবেন এবং এটা আপনি যদি মাত্র ১০ সেকেন্ড করতে পারেন এতেও সমস্যা নেই। কিন্তু আপনি আপনার শরীরের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন এইটাই হচ্ছে হিট। তো আপনি প্রথমবার ১০ সেকেন্ড দিলেন তাঁর পরের বার ২০ সেকেন্ড দিলেন এ রকম করে যতবার করতে পারেন।
আরো পড়ুন: টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির সাপ্লিমেন্ট
২। জীবন থেকে স্ট্রেস কমাতে হবে
স্ট্রেস খুব খারাপ একটা জিনিস। স্ট্রেস মানে হচ্ছে যে আপনি একটা কাজ করছেন ঠিকই আপনি আপনার সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন। কিন্তু আপনি একটা গোলে পৌঁছাতে পারছেন না এবং আপনি সেটার জন্য চিন্তিত যে কীভাবে করি আমি এটা মানে এটা আমার দ্বারা কীভাবে সম্ভব?
মোট কথা আপনার সামনে কোনও রাস্তা আপনি দেখতে পাচ্ছেন না। কিন্তু আপনাকে ঐ গোলে পৌঁছাতে হবে। এটার জন্য আপনার মাথার উপর একটা প্রেশার বা একটা চাপ আপনি অনুভব করছেন এটাই হচ্ছে স্ট্রেস।
এটা হতে পারে আপনার কাজের ক্ষেত্রে বসের স্ট্রেস অথবা স্টুডেন্ট যারা আছেন তাদের রেজাল্ট ভালো করার স্ট্রেস। অনেক সময় দেখা যায় যে আমরা স্টুডেন্টদেরকে পড়াশোনায় আগ্রহ কীভাবে বাড়বে সেই পথ না দেখিয়ে আমরা তাদেরকে ভয় দেখাই, প্রেসার করি যেন তারা রেজাল্ট ভাল করে এগুলোর কারণে তারা স্ট্রেসে থাকতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ মেয়াদি যা স্ট্রেসের মধ্যে আছেন, তাঁদের শরীরে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। কর্টিসোল হরমোনের যখন বেড়ে যায় তখন টেস্টোস্টেরন লেভেল অটোম্যাটিক কমে যায়।
আরো পড়ুন: টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ট্যাবলেট
৩। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম
টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ানোর উপায় হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম বা কোয়ালিটি ঘুম। মানে আপনি কতটা সময় ধরে ঘুমাচ্ছেন এটা যেমন গুরুত্বপুর্ণ আবার আপনার ঘুমের কোয়ালিটিটা কি ভালো হচ্ছে কিনা সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। ২২৯৫ জন ছেলেদের উপর একটা গবেষণা করা হয় এখানে দেখা হয় ঘুমের কারণে কী টেস্টেস্টোরন লেবেলের ওপর কোনও প্রভাব পড়ে কি না।
এখানে যারা অংশগ্রহণ করেন তারা প্রতিদিন কত ঘণ্টা করে ঘুমোচ্ছেন সেটা রেকর্ড করা হয় এবং তাদের রক্তে সিরাম টেস্টস্টেরন কতখানি আছে সেটাও রেকর্ড করা হয়। পরবর্তীতে ফলাফলে দেখা যায় প্রতি ১ ঘণ্টা করে কম ঘুমানোর কারণে টেস্টোস্টেরন লেভেল কমে আসে ৫.৮৫ ন্যানোগ্রাম পার ডেসিলিটার করে।
এটা আবার এরকম না যে আপনি একদিন কম ঘুমালেই আপনার টেস্টেস্টরন লেভেল অনেক কমে যাবে। দুই একদিন কম ঘুমোলে খুব একটা প্রভাব পড়ার কথা না। তবে এটা আবার পার্সোনাল অনেকেই আবার ঘুম দ্বারা অনেক বেশি অ্যাফেক্টেড হন আবার কেউ কেউ খুব একটা অ্যাফেক্টেড হয়না।
কিছু মানুষ আছেন যাঁরা রাতে একেবারেই না ঘুমোলেও পরের দিন দিব্যি কাজ কর্ম করে যেতে পারেন। আবার কিছু মানুষ আছেন যাঁরা সাত ঘণ্টার জায়গায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা যদি ঘুমান তাহলে পরের দিন তাঁর বিভিন্ন কাজকর্ম করতে সমস্যা হয়। গবেষণা অনুযায়ী একজন মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে সাত ঘন্টা করে ঘুমানো উচিত।
আরো পড়ুন: টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার তালিকা
৪। শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ
অনেকেই আছেন যাঁদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি আছে। কিন্তু এটা তারা বোঝেন না। ১০২ জন মানুষের উপর এই গবেষণা করা হয়। যেখানে দেখা যায় মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি যখন পূরণ করা হয় তখন তাদের টেস্টোস্টেরন লেভেল অটোমেটিক্যালি বেড়ে যায়।
৫। খাবার
চলুন দেখা যাক কোন কোন খাবার আপনার টেস্টোস্টেরন লেভেল বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। নাম্বার ওয়ান হচ্ছে চর্বিযুক্ত মাছ। চর্বিযুক্ত মাছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক, ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে যারা আপনার টেস্টেস্টরন লেভেলকে একটি হেলদি পর্যায়ে রাখতে সাহায্য করে থাকে।
আমি কিছু চর্বিযুক্ত মাছে উদাহরণ বলে দিচ্ছি, লইট্টা, ভেটকি, ছুরি, পুঁটি, আইর, ইলিশ, টুনা, সার্ডিন স্যামন, হেরিং, কাতলা, কই, রুই, মাগুর, পাঙ্গাস, চাপিলা ইত্যাদি।
দুই নম্বর হচ্ছে ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ইনফ্লামেশন এরা আপনার টেস্টেস্টরন লেভেককে কমিয়ে দিতে পারে। অপরদিকে ম্যাগনেসিয়াম অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে টেস্টোস্টেরন এর বায়োএবিলিটি বাড়িয়ে দিতে পারে।
তাহলে চলেন ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া যাক। বেশি পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম পাবেন এ রকম সবজি হচ্ছে ব্রকোলি, পালং শাক, ঢেড়শ ইত্যাদি। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বেশি পাওয়া যায় এরকম সবজি খেতে পারেন।
তিন নম্বর হল চকলেট। চকলেটের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু একটা হচ্ছে আপনি কি চকোলেটের প্রতি অ্যালার্জিক কি না? এটা আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে অল্প একটু খেয়ে আগে টেস্ট করবেন যে এটা কি আপনাকে কোনও অ্যালার্জি দিচ্ছে কিনা? যদি না দেয় তাহলে আরেকটু বেশি খেতে পারেন তারপর একটু বেশি।
সেকেন্ড যে সমস্যা সেটা হচ্ছে আমাদের দেশে যে সমস্ত চকলেট পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই অনেক বেশি পরিমাণে সুগার দেওয়া। মানে অনেক বেশি মিষ্টি লাগে খেতে। চকোলেট কিন্তু আসলে মিষ্টি লাগার কথা না। এটার স্বাদ হচ্ছে তিতা স্বাদ। আমাদের শরীরের ৯৫ ভাগ টেস্টোস্টেরন তৈরি হয় টেস্টিকল লেইডিক কোষ থেকে। চকোলেটের মধ্যে যে ফ্লাভোনওয়েড থাকে এই ফ্ল্যাবনয়েড লেইডিক কোষকে এই টেস্টোস্টেরন তৈরিতে হেল্প করতে পারে।
৪। ডিম
অবশ্যই কুসুম সহ খাবেন। দিনে ১ থেকে ২ টার বেশি খাবেন না। ডিমের মধ্যে অনেক ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে তার মধ্যে একটা উপাদানের নাম হচ্ছে সেলেনিয়াম। এই সেলেনিয়াম টেস্টেসটেরোন বাড়াতে সাহায্য করে।
৫। ডালিম
ডালিম বা আনার এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড সহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, এরা গিয়ে লেইডিক কোষকে প্রোটেক্ট করতে হেল্প করে এবং টেস্টোস্টেরন এর প্রোডাকশনকে বাড়াতে সাহায্য করে।
লেখকের শেষকথা
আজকের এই লেখায় আমরা টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে কি হয় এবং টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ানোর কয়েকটি উপায় এবং খাবার সম্পর্কে আলোচনা করেছি। উপরোক্ত বিষয়গুলো যদি আপনার মধ্যে দেখা যায় তবে আপনি একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করুন। ডাক্তার আপনাকে এই বিষয়ে যথেষ্ট সহায়তা করবে এবং সঠিক গাইডলাইন প্রদান করবে। আশা করছি এই লেখাটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে। ধন্যবাদ
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।