কারেন্সি সোয়াপ কি? কারেন্সি সোয়াপ কাকে বলে

কারেন্সি সোয়াপ কি? কারেন্সি সোয়াপ কাকে বলেঃ যেসকল দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ সামান্য কিংবা কম তারা বিপদে পড়লে অন্য দেশ থেকে তাদের টাকা তাদের ব্যাংকে সঞ্চিত রাখার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসে আর এই পদ্ধতিকেই কারেন্সি সোয়াপ বলা হয়।

কারেন্সি সোয়াপ কি

এছাড়াও দেশের মধ্যেও এক ব্যাংক অন্য আরেকটি ব্যাংকের সাথে সোয়াপ করে থাকে। সাধারণভাবে টাকা এবং ডলারের মধ্যে সোয়াপ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার জন্য সাময়িক সংকটে পড়লে টাকা রেখে স্বল্প সময়ের জন্যে ডলার নেয়। উক্ত ব্যাংকের হাতে আবার ডলার আসলে নির্ধারিত সুদসহ আবার তা পরিশোধ করতে হয়। তখন জমা রাখা টাকা ফেরত পায় ব্যাংকটি।

(toc) #title=(এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা পড়ুন)

কারেন্সি সোয়াপ এর মানদন্ড কেমন

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে, একটি দেশের কাছে সর্বনিম্ন ০৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বৈদশিক মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। আর যদি না থাকে তবে সোয়াপের শরণাপন্ন হয়।

কারেন্সি সোয়াপ এর সুদহার কেমন হয়ে থাকে

সমঝোতা অনুযায়ী এই ধারের জন্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে লাইবরের (লন্ডন আন্তব্যাংক সুদের হার) সঙ্গে অতিরিক্ত ২ শতাংশ সুদ যুক্ত করে যে দেশটি টাকা নিয়েছে তার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এবং যে দেশটি টাকা দিয়েছে তাদের ব্যাংককে পরিশোধ করবে। ০৩ মাসের বেশি সময়ের জন্য দিতে হবে লাইবরের সঙ্গে এক্সট্রা আড়াই শতাংশ সুদ। লাইবর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট। বর্তমানে লাইবর রেট ২ শতাংশ প্রায়।

জেনে নিন, কোন দেশের টাকার মান বেশি

কারেন্সি সোয়াপ পরিশোধ না করতে পেলে তবে এর ভবিষ্যৎ কি?

কারেন্সি সোয়াপ কিংবা আন্তঃদেশিয় মুদ্রা বিনিময় হচ্ছে অনেকটা ব্যাংক টু ব্যাংক লেন্ডিং এর মতো হওয়ার ফলে ঝুঁকি কম। যদি কোনো দেশ এই টাকা দিতে না পারে, তখন উক্ত দুটি দেশের মধ্যে যে বৈদেশিক ব্যবসা বাণিজ্য হয়ে থাকে, সেখানে থাকা দেনা-পাওনা থেকে এই টাকা সমন্বয় করে নিতে পারবেন।

About sohansumona000@gmail.com

Check Also

বায়ার কীটনাশকের সর্বশেষ মূল্য তালিকা ২০২৫ – সাশ্রয়ী দামে সেরা পণ্য

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হওয়ায় এখানে প্রচুর শস্য ফলে। এছাড়াও নানান জাতের সবজি, ফুল ফল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *