ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লন্ডন

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লন্ডন — আমাদের দেশে প্রতিবছর বহু লোক পারি জমান ইংল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিট ভিসাতে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, যারা স্টুডেন্ট তাদের মাঝে ইংল্যান্ড যাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই বেশি থাকে। ইংল্যান্ডে পড়াশোনার জন্য বেশ নামী দামী ইউনিভার্সিটি বা কলেজ রয়েছে। স্টুডেন্ট ভিসায় পড়াশোনার জন্য গেলেও পড়াশোনার পাশাপাশি জব করতে প্রয়োজন পড়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার। এছাড়াও আমাদের এশিয়া মহাদেশ থেকে বহু মানুষ শুধুমাত্র কাজের সন্ধানে পারি জমান ইংল্যান্ডে।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লন্ডন

আজকের পোষ্টে আমরা আলোচনা করবো বাংলাদেশ থেকে লন্ডনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে পাবেন। যদি আপনি পড়াশোনার জন্য যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে বানাবেন। যারা ওয়ার্কার রয়েছেন শুধুমাত্র কাজের সন্ধানেই ইংল্যান্ড যেতে চাচ্ছেন তাদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কেমন হবে ইত্যাদি বিষয় গুলো থাকছে আজকের আর্টিকেলে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লন্ডন সম্পুর্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করুন।

আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লন্ডন

ইংল্যান্ড সরকার প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রচুর শ্রমিককে নিয়োগ দিয়ে থাকে। কাজের মধ্যে কেয়ার টেকার এর কাজ গুলো অন্যতম। শুধুমাত্র তাদের সন্তানদের দেখাশোনা, বয়স্ক লোকদের দেখাশোনা, বাড়ি দেখাশোনা, মালি ইত্যাদি ধরনের কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান করে।

বাংলাদেশ সরকার তখন সব জনগনকে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে। আপনি যদি কোনো দেশে ওয়ার্কার হিসেবে যেতে চান তাহলে সে দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু থাকতে হবে। লন্ডনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আপনি চাইলে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন। লন্ডনে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যারা শ্রমিক হিসেবে যান তাদের প্রচুর সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়।

তবে লন্ডনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে রয়েছে কিছু কন্ডিশন বা রিকোয়ারমেন্ট। যে রিকোয়ারমেন্ট গুলোকে আপনাকে পূরন করতে হবে। এর মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য রয়েছে ভাষাগত দক্ষতা। ইংরেজি ইংল্যান্ডের মাতৃভাষা। যেহেতু ইংল্যান্ডে বেশিরভাগই ছোট খাটো কাজের জন্য প্রচুর নিয়োগ দেয় তাই এখানে আপনার ইংরেজিতে মোটামোটি দক্ষ হতে হবে।

একাডেমিক শিক্ষা আপনাকে থাকতেই হবে। সর্বনিম্ন এসএসসি পাসের মূল সনদ থাকতে হবে। ইংরেজি লেখা, বলা ও শোনায়কে কতটা দক্ষ এটার পরিমাপ করা হয় আইএল টিএস পরিক্ষার মাধ্যমে। আপনার দক্ষতার পরিমাপ অনুযায়ী আপনাকে একটি স্কোর প্রদান করা হবে। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন স্কোর রিকোয়ারমেন্ট থাকে৷ আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসাতে শ্রমিক হিসেবে লন্ডনে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার আইলটিএস এর স্কোর সর্বনীম্ন ৪.০ থাকতে হবে।

কিভাবে ওয়ার্কার ভিসা করবেন 

ওয়ার্কার ভিসা আপনি চাইলেই করতে পারবেন না। এর জন্য লন্ডন সরকার এর সার্কুলার বাংলাদেশে পেতে হবে। কোন ধরণের শ্রমিক ভিসা রয়েছে এগুলো সম্পর্কে জানতে হলে বাংলাদেশের শ্রমিক কল্যান এর ওয়েবসাইট গুলো দেখে নিতে হবে। এছাড়াও নিউজপেপার এর মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দেখা গেলে সেখানে রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। আপনার আবেদন বাংলাদেশ সরকার এপ্রুভ করলেই কেবল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লন্ডন এর জন্য বানাতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ভিসা চেক করার নিয়ম

স্টুডেন্ট ভিসা লন্ডন

শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয় ইন্ডিয়া, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান থেকে প্রতি বছর স্কলারশিপ নিয়ে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী লন্ডনে পড়াশোনা করার জন্য যায়। লন্ডনে পড়াশোনার জন্য যেতে চাইলে আলাদা কিছু রিকোয়ারমেন্ট আপনাকে পূরন করতে হবে। যদি আপনি স্কলারশিপে যেতে চান তাহলে আইল টিএস এর স্কোর সর্বনীম্ন ৬.০ হতে হবে।

এর চেয়ে কম স্কোর হলে আপনি স্কলারশিপ ভিসা পাবেন না। স্কলারশিপ ছাড়া যদি যেতে চান এক্ষেত্রে আপনার ব্যাংক একাউন্টে অতিরিক্ত পরিমান টাকা ও আইল টিএস স্কোর ৫.০০ হতেই হবে। ভাষাগত যেকোনো সমস্যা এড়াতে ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে আইলটিএস এ বসাটা আপনার জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত?

সাধারণত লন্ডনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ অনেক কম অন্যান্য দেশের তুলনায়। বাংলাদেশ থেকে যদি বাংলাদেশের কারেন্সি টাকায় হিসাব করা হয় তাহলে কাজ ভেদে ৩ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকার মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়। এছাড়াও লন্ডনে ভ্রমন ভিসার জন্য ৩/৫ লাখ টাকার মত খরচ করতে হবে।

অনেকেই খুজে থাকেন যে, লন্ডনে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য কেমন খরচ হতে পারে। আপনি যদি স্কলারশিপ পেয়ে যেতে পারেন সেক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকার মধ্যে আপনি ভিসা বানাতে পারবেন। আর আপনি যদি স্কলারশিপ ছাড়া স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে ১৫-২০ লাখ টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও ৫/১০ টাকার মত খরচ হতে পারে ভিসার ক্ষেত্রে।

শেষ কথা

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লন্ডন এর জন্য প্রচুর ওয়ার্কার প্রতিবছর নিয়োগ দেয়া হয়। বেশিরভাগ নিয়োগে কেয়ার টেকারদের বেশী নেয়া হয়। মানসিক অসুস্থ ও বেকারগ্রস্ত মানুষের যত্ন নেয়ার জন্য এসব জনবোল নিয়োগ হয়। তবে সেগুলো নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনার জবটি করতে হবে।

About sohansumona000@gmail.com

Check Also

ট্রাফিক আইন জরিমানা মোটরসাইকেল ২০২৫: জেনে নিন সব কিছু

বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশ সরকার নতুন ট্রাফিক আইন প্রবর্তন করেছেন। বিশেষ করে যারা ট্রাফিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *