গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় | গনোরিয়া কি জিনিস

মূলত গনোরিয়া খুবই ভীতি কর একটি রোগ। এই ধরনের রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে অবশ্যই আমাদেরকে ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। যদি কখনো কোন ব্যক্তি গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়, তবে তিনি যেসকল বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকলে গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।

গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়

বেশিরভাগ মানুষ আছেন এই রোগের কথা এখনো জানেন না। তবে অবশ্যই গনোরিয়া রোগ সম্পর্কে আমাদের বিশেষ ধারণা রাখা উচিত। তো চলুন দেরি না করে জেনে আসি গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

(toc) #title=(সুচিপত্র)

গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়

গনোরিয়া সাধারণত নারী-পুরুষ উভয়ের হতে পারে। এটি কষ্টদায়ক যৌ* -ন সংক্রামক রোগ। গনোরিয়া রোগটি “নাইসেরিয়া গনোরিয়া” নামক একপ্রকার ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে মেলামেশার ২ থেকে ১০ দিন পরে এ রোগের লক্ষণ দেখা যায়। এই রোগেটি দীর্ঘদিন শরীরের বাইরে টিকে থাকতে পারে না।

এরা বেঁচে থাকে কেবল নিবিড় যৌ* -ন মিলনের মাধ্যমে এক দেহ থেকে অন্য দেহে স্থানান্তরিত হয়। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি ব্যাকটেরিয়া গঠিত জীবাণু বাহিত রোগ। সাধারণত নারীদের চেয়ে পুরুষরাই এই যৌ* -ন রোগে আক্রান্ত হয়। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার ক্রমশ বাড়ছে।

কিন্তু একাধিক গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় রয়েছে। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই মুক্তি পাওয়া যায়। ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালে পুরুষদের মধ্যে গনোরিয়ার হার দ্বিগুণ হয়েছে। এই রোগের ইনফেকশনের সর্বাধিক কমন লক্ষণ হচ্ছে ডিসচার্জ। যেকোনো ধরনের ডিসচার্জ হলে আপনার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

সাধারণত পেনি*সিলিন ব্যবহারে সংক্রমণ সেরে যায়। পেনি*সিলিন রেজিস্ট্যান্ট ব্যক্তিকে সেনসিটিভ ঔষধে চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে। জটিলতাহীন গনোরিয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত একক মাত্রায় উপযুক্ত জীবাণুবিরোধী বা এন্টিমাইক্রোবিয়াল ঔষধ বেশ ভালো কাজ দেয়।

Check out all of our ওসিডি রোগের ঔষধ কত দিন খেতে হয়.

গনোরিয়া রোগ কি ভালো হয়

গনোরিয়া একটি মহা মারীর মতো রোগ। এই রোগ নারী এবং পুরুষ উভয়েরই হয়। এটি একটি যৌ* -ন রোগ। গনোক্কাস নামক এক জীবাণুর আক্রমণে এই রোগটি হয়ে থাকে।

আক্রান্ত পুরুষ বা নারীর সাথে যৌ* -ন স ঙ্গ ম করলে তার দুই সপ্তাহের মধ্যে এই রোগটি প্রকাশ পায়। গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় রয়েছে, সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে গনোরিয়া রোগ ভালো হয়।

গনোরিয়া রোগের জীবাণু মানব শরীরের কোন স্থানের মুখ আছে সাথে মেমোপ্লেনের ঢুকে আক্রান্ত স্থান থেকে র ক্তে প্রবেশ করে নানা প্রকার রোগের সৃষ্টি করে থাকে। সাধারণত মানুষের মূত্রনালী, পায়ু পথ, মুখগহ্বর এবং চোখ গনোরিয়ার জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়ে থাকে।

গনোরিয়া রোগটি খুবই ভ য়া বহ এবং এই রোগটি হলে আপনার অস্বস্তির শেষ হবে না। তাই অবশ্যই গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে সকলের জেনে নেওয়া উচিত।

Check out all of our চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ সেরা ১০ ডাক্তার তালিকা.

গনোরিয়া রোগ হলে করণীয়

  • যৌ* -ন মিলনের ক্ষেত্রে অবশ্যই কন* – ডম ব্যবহার করতে হবে।
  • মহিলাদের যখন মাসিক হবে তখন অবশ্যই পরিষ্কার কাপড় কিংবা প্যাড ব্যবহার করতে হবে।
  • স্বামী কিংবা স্ত্রী যদি কেউ আক্রান্ত হন তাহলে দুজনেরই চিকিৎসা করাতে হবে।
  • কখনোই নিজের স্ত্রী কিংবা নিজের স্বামীর ব্যতীত অন্য কারো সাথে যৌ* -ন মিলন করা যাবে না।
  • অবশ্যই যৌ* -ন মিলনের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর বিশ্বস্ততা জরুরি।

গনোরিয়া রোগ হলে কি কি সমস্যা হয়

সংক্রমণের দুই থেকে ১৪ দিনের মধ্যেই রোগটির লক্ষণ প্রকাশ পায়। তবে অনেক রোগীর ক্ষেত্রে এই রোগটি কোন রকম লক্ষণ সৃষ্টি করে না। তবে সাধারণত নিম্নলিখিত লক্ষণ গুলি লক্ষ্য করা যায়।

পুরুষদের ক্ষেত্রেঃ

  • মূত্র ত্যাগর সময় জ্বালা ও ব্যাথা অনুভব হয়।
  • বারবার প্রস্রাবে যেতে হয়।
  • যৌ* -নাঙ্গ থেকে ঈষৎ হলুদ অথবা সবুজ পুজ বের হয়।
  • পু রু-ষাঙ্গ লালচে বর্ণ ধারণ করে এবং ফুলে যায়।
  • অন্ড* -কোষে ব্যথা অনুভব হয়।
  • গলায় সবসময় ব্যাথা থাকে।

মহিলাদের ক্ষেত্রেঃ

  • মুত্র ত্যাগ এর সময় ব্যথা ও জ্বালা হয়।
  • পি রি য়ডের সময় অতিরিক্ত র ক্ত পাত।
  • গলায় ব্যাথা থাকে।
  • বারবার প্রসাবে যেতে হয়।
  • যৌ* -ন স ঙ্গ মের সময় ব্যথা।
  • যো* -নি থেকে ঈষৎ হলুদ অথবা সবুজ পু জের মতন তরল বের হয়।

দীর্ঘদিন ধরে এ রোগের চিকিৎসা না হলে রোগটি জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি প্রাণঘাতীও হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই ব্যাকটেরিয়াটি জনন অঙ্গের সমূহ ক্ষতি করে। জ রা য়ু, ফ্যাল পিয়ান টিউব, ওভারি একত্রে আক্রান্ত হলে তলপেটে তীব্র ব্যাথা হয় এবং অনেক সময় ফ্যালপিয়ান টিউব দুটি ব্লক হয়ে যায়।

এগুলো দ্রুত চিকিৎসা না করলে ভবিষ্যতের স ন্তা ন ধারনে সমস্যার সৃষ্টি করে। কোন মহিলা যদি প্রেগ ন্যান্ট থাকাকালীন সময়ে এই রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে ডেলিভারির সময় তার সন্তানও এই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।

Check out all of our চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা.

গনোরিয়া রোগ কত দিনে ভালো হয়

গনোরিয়ায় আক্রান্ত হলে পুরুষেরা বিভিন্ন গ্রন্থে যেমন শুক্র নালী, প্রো স্টে ট ইত্যাদি প্রদাহের সৃষ্টি করে। আক্রান্ত ব্যক্তির পু রু ষা ঙ্গের এক ধরনের তরল পদার্থ লেগে থাকতে দেখা যায় ও হালকা ব্যথা অনুভুত হতে পারে।

কিছুদিন পর এই রোগের উপসর্গ কিছুটা কমে যায়, তবে এর মানে এই নয় যে রোগটি সরে গেছে। এর মধ্যে দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা দেখা দিতে পারে, আর দীর্ঘমেয়াদি জটিলতার শুক্র না লী বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির পিতা হওয়া সম্ভাবনা কমে যায়। নারীদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে জ রা য়ু মুখের গ্রন্থিগুলো জীবাণুতে আক্রান্ত হয় পরে। এ জীবানুর ডিম্বোনালিকে আক্রমণ করে প্রস্রাবে তীব্র ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া শুরু হয়।

দীর্ঘদিন আক্রান্ত থাকলে ডিম্ব ণা লী বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে সন্তান ধারণ ক্ষমতা হারাতে পারেন। এই রোগে আক্রান্ত নারী কোন সন্তান প্রসব করলে ওই সন্তানের চোখ এ জীবানুতে আক্রান্ত হতে পারে।

গনোরিয়া রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

গনোরিয়া রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে যদি জানতে চান, তাহলে বলবো এই রোগের ঘরোয়া তেমন কোন চিকিৎসা নেই। তবে আপনি যদি কিছু সাবধানতা মেনে চলতে পারেন, তাহলে এটিই হবে গনোরিয়া রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা।

গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় মেনে চলতে হবে। স্বামী ব্যতীত অন্য কারো সাথে যৌ* -ন মিলন করা যাবে না। পিরিয়ডের সময় নিয়ম মেনে প্যাড ব্যবহার করতে হবে বা পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করতে হবে।

Check out all of our এড দেখে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট | টাকা আয়ের সহজ উপায়.

গনোরিয়া রোগের চিকিৎসা

  • প্রতিদিন যৌ* -ন ভালোভাবে Dettol দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
  • গনোরিয়া আক্রান্ত হলে কোনভাবেই যৌ* -ন স ঙ্গ ম করা যাবে না।
  • গনারিয়ার সবচেয়ে বেশি কার্যকরী চিকিৎসা হচ্ছে Penicillin দিয়ে করলে। তবে C/S পরীক্ষা করে চিকিৎসা করলে কোন রোগীর জন্য কোন ওষুধ দরকার তা জানা যায় কারণ সবার উপরে পেনিসেলিন দিয়ে চিকিৎসা করা যায় না।
  • যদি পেটে ব্যাথা থাকে তাহলে রোগীকে Algin ট্যাবলেট একটা করে তিনবার খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
  • প্রস্রাবের সমস্যার জন্য Algin সিরাপ তিন চামচ করে দিনে তিনবার চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত খেতে হয়।
  • রোগীকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সি খেতে দিতে হবে।
  • জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খেতে দিতে হবে।
  • রোগীর প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

সর্বশেষ কথা

আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারলেন, গনোরিয়া কি, গনোরিয়া থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য ও সকল গুরুত্বপূর্ন তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি কিছুটা হলেও আপনি উপকৃত হয়েছেন। গনোরিয়া অত্যন্ত ভ য়া বহ একটি রোগ। তাই অবশ্যই গনোরিয়া থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। নিরাপদে থাকুন, ভালো থাকুন, আল্লাহ হাফেজ। 

About sohansumona000@gmail.com

Check Also

বিভিন্ন সংক্রমণজনিত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসায় ডক্সিক্যাপ ১০০ এর ব্যবহার ও কার্যকারিতা

Doxicap 100 হলো ডক্সিসাইক্লিনের একটি বাণিজ্যিক নাম, যা Tetracycline শ্রেণীর একটি শক্তিশালী ব্রড-স্পেকট্রাম এন্টিবায়োটিক মেডিসিন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *