গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ

গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ – নারীদের জীবনের খুব মূল্যবান একটি সময় হচ্ছে গর্ভকালীন সময়। গর্ভকালীন সময় যেমন পরিবারে আনন্দ বয়ে আনে, ঠিক তেমনি কিছু কিছু কারণে এই আনন্দের সময়টুকু হয়ে উঠতে পারে কষ্টদায়ক এবং বিপদ জনক। গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ সেই কাজগুলো সর্বদাই এড়িয়ে চলতে হবে। গর্ভাবস্থায় পারিবারিক সবকাজ থেকে বিরতি নেওয়া একদমই নিরাপদ নয়, তার পাশাপাশি সবকাজ করাটাও নিরাপদ নয়।

আমাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ। গর্ভাবস্থায় যে কাজ করতে গিয়ে আপনি খুবই ক্লান্ত হয়ে যাবেন অথবা অসুস্থ হয়ে পড়বেন এ ধরনের কাজ না করাটাই ভালো হবে। চলুন তাহলে জেনে নেই গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।

(toc) #title=(সুচিপত্র)

গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ

গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ

১। গর্ভধারণ করার পর প্রথম কয়েকমাস প্রায় সকল ধরনের ঘরের কাজকর্ম করা যেতে পারে। তবে হ্যাঁ পেটের উপর চাপ পড়ে কিংবা মানসিক অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, এমন কোনো কাজকর্ম গর্ভবতী মায়েদের করা উচিত নয়। গর্ভবতী মায়েদের সবসময় হাসিখুশি এবং টেনশনমুক্ত থাকা অনেক জরুরি।

২। গর্ভাবস্থায় ভারী কাজ থেকে বিরত থাকুন যেমনঃ ঘরের যেকোনো আসবাবপত্র স্থানান্তর, পানি ভর্তি কলস, বালতি, ৩-৪ তলা সিঁড়ি বেঁয়ে উপরে ওঠা, শীল পাটা ঘষা, সিলিং ফ্যান পরিষ্কার করা ইত্যাদি।

৩। বেশি চাপ দিয়ে ঘসতে মাজতে হয় এমন সকল কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিপরীতে অল্প চাপ দিয়ে ঘসা মাজা করা যায় এমন সকল বাসনপত্র গর্ভবতী মায়েরা পরিষ্কার করতে পারেন। কিন্তু হ্যাঁ লক্ষ্য রাখবেন একটানা ১৫ থেকে ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকবেন না।

৪। যেকোনো পোষা প্রাণীর মলমূত্র পরিষ্কার করা। কারণ মলমূত্রে এক ধরনের পরজীবী (টক্সোপ্লাজমা) থাকে, যা গর্ভাবস্থায় মা ও সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক। বমি ও হতে পারে সাথে মাথা ঘুরানো থেকে শরীর খারাপ হয়ে যেতে পারে।

৫। ঘরে যেকোন ধরনের পোকামাকড় মারার জন্য যে বিষাক্ত রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করা হয়, গর্ভাবস্থায় তা খুবই বিপদ জনক। তাই গর্ভাবস্থায় এটি থেকে বিরত থাকা উচিত।

৬। বাথরুম পরিষ্কার করার জন্য যে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় তার গন্ধ থেকে সমস্যা হতে পারে গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর।

৭। গর্ভাবস্থায় যা যা কাজে নিষেধ তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে হাতে ঘর মোছার কাজ যা ঝুঁকে করতে হয়। গর্ভাবস্থায় শরীরের ভরকেন্দ্র বদলে যাওয়ায় এ পদ্ধতিতে ঘর মোছার কারণে গর্ভকালীন বাচ্চার সমস্যা হতে পারে। সুতরাং গর্ভাবস্থায় এই কাজ করা নিষেধ।

৮। একটানা ১৫-২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না আবার একটা না ১৫-২০ মিনিট বসে কাজ করা যাবে না। গর্ভাবস্থায় শরীরের জলের পরিমাণ বেশি থাকায় পা ফুলে যাবে। প্রথম তিন মাস এবং শেষের দুই মাস খুব বেশি সতর্ক থাকা উচিত।

৯। পর্দা পরিবর্তন করা অথবা ফ্যান পরিষ্কার করার মতো কাজগুলো গর্ভাবস্থার সময় করা উচিত নয়। উঁচুতে উঠে কাজ করতে হবে, এই ধরনের যেকোনো কাজ গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলা ভালো।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় মায়েদের খাবার তালিকা

গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ তা আমরা জেনে আসলাম। এখন জেনে নেয়া যাক, গর্ভাবস্থায় কোন কোন খাবার শরীরের জন্য উপকারী। গর্ভকালীন সময়ে একটি সুষম খাবারের তালিকা মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যসম্মত, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারগুলো আপনার শরীরের এবং বাচ্চার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখবে। প্রতিদিন একই ধরনের খাবার খাওয়া ঠিক নয়, শরীরে পুষ্টির চাহিদা অনুযায়ী একেক ধরনের খাবার গ্রহণ করা উচিত।

যেমন: গাড় রঙ্গের সবুজ শাকসবজি (গাজর, মিষ্টি আলু, পালং শাক, মিষ্টি কুমড়া, মটরশুটি, টমেটো, শিম, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি), ডিম, মাছ মাংস, পাতলা ডাল, শর্করা জাতীয় খাবার গমের রুটি, ভাত, দুধ, ফলমূল (কমলা, কলা, আম, জাম্বুরা, পেয়ারা, বাঙ্গি, মাল্টা ইত্যাদি), আলু, ভুট্টা, বাদাম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পানি, গর্ভাবস্থায় দৈনিক ২ থেকে ৩ লিটার ( ৮-১২ গ্লাস) পানি খাওয়া প্রয়োজন।

গর্ভাবস্থায় ঘরে যা যা কাজ করতে পারবেন

গর্ভকালীন সময়ে কাজের জন্য শরীরে বিশেষ কোন সমস্যা না হলে সংসারে ছোটখাটো সব কাজ করা যায়, এতে সমস্যার কিছু নেই। বরং বসে না থেকে ছোটখাটো কাজ শরীরের জন্য ভালো। ঘরের কিছু কিছু কাজ যা সহজেই করা যায় যেমন, শাকসবজি কাটা বা ধোঁয়ার কাজ, লম্বা হাতলের ঝাড়ু দিয়ে ঘর ঝাড়া, মোছা করা, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বেসিনের থালা-বাটি পরিষ্কার করা (আবার বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করা ঠিক নয়)। এ ধরনের ছোটখাটো সহজ কাজগুলো সবসময়ই করা যায়।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি খাওয়া উচিত নয় – গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় সব খাবার শরীরের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কিছু কিছু খাবার গর্ভকালীন সময় মা ও শিশুর জন্য খুবই বিপদ জনক। যেমনঃ অতিরিক্ত ক্যাফেইন, অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়, অর্ধসিদ্ধ মাছ, মাংস যেকোনো খাবার, আপনার এলার্জি জনিত কোনো খাবার, মাখন, ক্রিম, ডালডা-ঘি, চকলেট, আইসক্রিম, ভাজা পোড়া, চিপস, ফাস্টফুড, পুডিং, ড্রিঙ্কস।

এই খাবারগুলো ক্যালরি বহুল হওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দেখা দিবে সাথে ওজন বৃদ্ধি পাবে। এতে করে গর্ভকালীন ডায়বেটিসের সাথে বাচ্চার স্বাস্থ্যের অনেক জটিল সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এই অস্বাস্থ্যকর খাদ্যের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর ফাইবার সমৃদ্ধ শর্করা জাতীয় খাবারের তালিকা অনুসরণ করুন।

গর্ভাবস্থায় যেসব ঔষধ এড়িয়ে চলতে হবে

গর্ভাবস্থায় নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্যের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদানের জন্য ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করাই বুদ্ধিমানের কাজ এবং ঔষধের মধ্যে কিছু কিছু মেডিসিন রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় শরীরের জন্য খুবই বিপদ জনক। সেই ঔষধ গুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। গর্ভকালীন সময়ে এই ওষুধ গুলো খুবই বিপদ জনক।

যেমন: জ্বর, ঠান্ডা বা ব্যাথার ঔষধ হিসেবেটি ব্যবহৃত হয় (অ্যাসপিরিন), শুধু জ্বর থাকলে জ্বর সারানোর জন্য এটি ব্যবহৃত হয় (আইবুপ্রোফেন), মানসিক অস্বস্তি, টেনশন, হতাশাগ্রস্ত বা বাইপোলার ডিজঅর্ডার এর চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয় (লিথিয়াম পিল), জ্বর সর্দি বা কাশির জন্য আরও একটি ঔষধ যা গর্ভের বাচ্চার জন্মগত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে (গুয়াইফেনাসেন)।

এই ধরনের কিছু মেডিসিন এড়িয়ে চললেই গর্ভকালীন সময় আপনার এবং আপনার বাচ্চার সুস্বাস্থ্য রক্ষা পাবে। গর্ভাবস্থায় কি কি ঔষধ খেতে হবে এবং কি কি ঔষধ এড়িয়ে চলতে হবে তা জানতে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিন।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি শাক খাওয়া যাবে – গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় শরীর ও মনের কিছু পরিবর্তন ঘটে

গর্ভাবস্থায় নারীদের জীবনে মানসিক ও শারীরিক অনেক পরিবর্তন ঘটে। শারীরিক নানা সমস্যার সাথে মেজাজের তারতম্য ঘটে এবং অনেকের ওজন বেড়ে যায়। গর্ভাবস্থায় শরীরের পরিবর্তন ঘটা টাই স্বাভাবিক, ৯-১০ মাস ধরে একজন নারী তার ভিতরে বহন করে অল্প রক্তপিণ্ড থেকে হৃদপিণ্ড, মস্তিষ্ক, হাত পা অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠিত একটি ভ্রুণের। দেহের ভিতরে এই বিশাল কার্যক্রমের জন্য অবশ্যই বাইরে মানসিক শারীরিক পরিবর্তন ঘটতে পারে।

চিকিৎসকের মতে, গর্ভকালীন সময়ে প্রথম থেকেই শরীরে নানা পরিবর্তন ঘটতে শুরু হয়। প্রথম দিকে বমিবমি ভাব হয়, কয়েক ঘন্টা পরপরই মাথা ঘুরায়, অনেকের স্কিনের মধ্যে স্পট বা ব্রনের সৃষ্টি হয়। গর্ভাবস্থায় হাড়ের সংযোগস্থল ঢিলা হয়ে যাওয়ায়, শরীরে অনেক ব্যথা থাকে।

বেশি বেশি পানি পান করার কারণে একটু পর পর প্রস্রাব হয়। অনেকের আবার শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ হয়। শরীরে তরল উপাদান বেড়ে যাওয়ায় পায়ে পানি জমে ফুলে যায়। এই সময়গুলো দুশ্চিন্তাহীন ভাবে সতর্কতার সহিত সময় কাটাতে হয়।

গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকা উচিত কিনা

গর্ভাবস্থায় শরীরের সুস্বাস্থ্যের বা সুস্থতার জন্য ঘুম খুবই প্রয়োজনই কিন্তু অতিরিক্ত বিশ্রাম কখনই শরীরের জন্য ভালো নয়। সেটা যদি হয় আবার গর্ভকালীন সময়ে, তাহলে তো খুবই ক্ষতিকারক একটি দিক। গর্ভকালীন সময়ে নারীদের ইনসমনিয়া দেখা দেয় যার ফলে প্রোজেস্টেরোন লেভেল বেড়ে যায়। এজন্য গর্ভবতী নারীদের শরীরে ক্লান্তি বেড়ে যায়। যার জন্য ঘুমের পরিমাণ টাও বেশি হয়ে যায়। কিন্তু অতিরিক্ত শুয়ে থাকা বা ঘুম শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর,গর্ভের শিশুর উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। যেমনঃ

  • পেট এবং কোমর ব্যাথা হয়
  • পায়ে পানি জমে পা ফুলে যায়
  • নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় 
  • সারাদিন ক্লান্তি অনুভব হয়
  • ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যায়
  • বাচ্চার মাথা বড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
  • শরীরের পেশী ঢিলেঢালা থাকে, স্ট্রং হয়না।

গর্ভাবস্থায় দৈনিক ৯ থেকে ১০ ঘন্টা ঘুমানো উচিত, সকালে ১-২ ঘন্টা এবং রাতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা। গর্ভকালীন সময় মা ও শিশু সুস্থ থাকতে প্রতিদিন সঠিক নিয়মে খাওয়া-দাওয়া, হাঁটা-চলা, ঘুমানো উচিত।

আরো পড়ুনঃ সিস্ট কি টিউমার এবং সিস্ট হলে কি সমস্যা হয়

গর্ভাবস্থায় কি কি সমস্যা হয়

গর্ভকালীন সময়ে নারীদের শরীরের অনেক সমস্যা দেখা দেয়। সামনের অংশ বেড়ে যাওয়ায় পিঠের হাড়ে চাপ তৈরি হয় এতে করে পিঠ ব্যাথা করে। গর্ভাবস্থায় হাড়ের সংযোগস্থল গুলো অনেকাংশ ঢিলা হয়ে যায়। গর্ভকালীন সময়ে রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ডানদিকে ঘুমালে কি হয়

গর্ভাবস্থায় ডানদিকে ঘুমালে পেট ভারী হয়ে যায়, ফলে ইনফেরিওভেনাকা শিরাটি বাধাগ্রস্ত হয়। বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে শরীরের রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়, পা ফুলে যায়, শরীরে পানি আসে। তার কারণে চিকিৎসকরা সব সময় পরামর্শ দেন গর্ভাবস্থায় বামপাশ হয়ে ঘুমানোর জন্য। বামপাশ হয়ে ঘুমালে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ থাকেন ৯৫%।

গর্ভাবস্থায় গর্ভকালীন বাচ্চা পেটের কোন দিকে থাকে

গর্ভকালীন সময়ে গর্ভের শিশুর জন্য সবচেয়ে অনুকূল অবস্থান হচ্ছে, শীর্ষস্থানীয় অবস্থান। যা শিশুর মাথা যো- নিপথের দিকে থাকে এবং মায়ের পেটের সাথে গর্ভকালীন শিশুর পিঠ সংযুক্ত থাকে। এই অবস্থানটি শিশুর জন্মের সময় একটি সহজলভ্য প্রসব হতে সাহায্য করে।

গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম

গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর জন্যও রয়েছে ভালো কিছু নিয়ম। যেমন: শোবার ঘরে উত্তর-পশ্চিম দিক এড়িয়ে চলা ভালো এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ঘুমানো উচিত। গর্ভকালীন সময়ে প্রথম তিন মাস বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিক এড়িয়ে চলা ভালো। সারারাত পিঠের উপর ভর দিয়ে ঘুমানো এড়িয়ে চলা উচিত। তাছাড়া ঘুমের জন্য ভালো একটি দিক হচ্ছে দক্ষিণ দিকে মুখ করে ঘুমানো তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ নিয়ে শেষ কথা

গর্ভাবস্থায় সবসময় সঠিক ও সুষম খাবার গ্রহণ করুন। নিয়মিত হাঁটা চলার মধ্যে থাকুন, এতে শরীর সুস্থ থাকবে, মন প্রফুল্ল থাকবে। গর্ভাবস্থায় ৪ বার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরন করুন নিয়মিত ক্যালসিয়াম, আয়রন জাতীয় খাবার পরিমাণ মতো গ্রহণ করুন। মনকে ফ্রেশ ও প্রফুল্ল রাখতে নিজের পছন্দ মতো সেজেগুজে নিজেকে গুছিয়ে রাখুন। সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন, গর্ভকালীন সময় সুস্বাস্থ্য ভাবে ভালো কাটুক।

About sohansumona000@gmail.com

Check Also

হুন্ডি কি? জানুন হুন্ডি ব্যবসা হালাল নাকি হারাম?

অনেকে হুন্ডি ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত কিন্তু এ বিষয়ে একটু দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে থাকেন তা হলো হুন্ডি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *