জাম খাওয়ার উপকারিতা

গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে এমন একটি ফল পাওয়া যায় যা দেখতে ছোটো হলেও এর অনেক গুণ রয়েছে। গ্রীষ্মকালে জাম বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। জাম হচ্ছে বেগুনি রঙের ফল। জাম খেতে খুবই সুস্বাদু, যার মিষ্টি, কষাকষি সবাইকে পাগল করে তোলে। অর্থাৎ জাম এমনই একটি ফল, যা তার সুন্দর রঙ এবং সুন্দর স্বাদের জন্য সুপরিচিত, তবে একই সাথে এটি আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও পরিচিত।

জাম খাওয়ার উপকারিতা

সূচীপত্র

  • জাম খাওয়ার উপকারিতা
  • দাঁতের ব্যথায় জামের উপকারিতা
  • শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়
  • ত্বকের জন্য উপকারী ফল জাম
  • ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় জাম
  • হার্ট সুস্থ রাখতে জামের ভুমিকা
  • জাম হাঁড়কে মজবুত রাখে
  • চোখের জন্য জাম খাওয়ার উপকারিতা
  • বিভিন্ন রোগে জামের উপকারিতা
  • রক্ত শুদ্ধ করে
  • জাম ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
  • কানের রোগে জামের উপকারিতা
  • আলসারের জন্য জাম পাতার ব্যবহার
  • জাম আমাশয় থেকে মুক্তি দেয়
  • পাইলস রোগে জাম উপকারী
  • কিডনিতে পাথরের চিকিৎসায় জাম
  • জাম খেলে শরীরে রক্তের অভাব দূর হয়। এতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক ভুমিকা পালন করে। জাম ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। জামে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করতে কাজ করে।

    কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য জাম উপকারী। পেট ব্যাথা, ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপের মতো রোগের জন্য জাম একটি ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ভালো কাজ করে। গরমের সময় জাম খেলে শরীরে রক্তের অভাব সহজেই মেটানো যায়। গ্রীষ্মে জাম খেলে আমরা আর কী কী উপকার পেতে পারি? যদি আপনি এই বিষয়ে না জানেন, তাহলে চলুন এখান থেকে জেনে নিইঃ

    জামকে ইংরেজি ভাষায় ব্ল্যাক বেরি বলা হয়। আয়ুর্বেদ অনুসারে জামের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে জামকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এর পাশাপাশি, জাম হজমের শক্তির উন্নতিতে এবং কিডনিতে পাথরের চিকিৎসার জন্য খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। 

    জামে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। শুধু জাম ফলই নয়, এর গাছের ছাল, পাতা ও শস্যও খুবই উপকারী। বড়দের পাশাপাশি এই ফলটি শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক জাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

    আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়

    জাম খাওয়ার উপকারিতা

    ১। দাঁতের ব্যথায় জামের উপকারিতাঃ দাঁতের ব্যথা আজকাল খুব সাধারণ ব্যাপার। জামের স্বাদ ও প্রভাব কষাকষি। দাঁতের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এর ব্যবহার উপকারী। এর জন্য জামের পাতা পুড়িয়ে ছাই করে নিন। পেস্টের মতো এটি দাঁত ও মাড়িতে ঘষে নিন যা আপনার দাঁত ও মাড়ি মজবুত করে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। শুধু তাই নয়, জামের পাকা ফল থেকে রস বের করে তা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে পায়োরিয়া সেরে যায়।

    জামে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক গুণ, যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি মুখের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মকালে আপনি যদি প্রতিদিন জাম খান তবে আপনার দাঁত এবং মাড়ি সংক্রান্ত সমস্যাগুলি অনেকাংশে কাটিয়ে উঠতে পারে। জাম মাড়ি ও দাঁত সুস্থ রাখে কারণ এর পাতায় ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণ রয়েছে, যা খাওয়ার ফলে মাড়িতে রক্তপাত হয় না এবং মাড়িকে শক্তিশালী করে। এছাড়াও জাম পাতার গুঁড়া বানিয়ে টুথ পাউডার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন, এতে মাড়িতে কোনো সংক্রমণ হবে না।

    ২। জাম শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে

    হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি অনেক সময় শরীরে নিউমোনিয়ার মতো সমস্যা তৈরি করে। এমন পরিস্থিতিতে শরীরকে সুস্থ রাখতে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখা খুবই জরুরি। গরমের সময় রোজ জাম খেলে শরীরে রক্তের অভাব অনেকাংশে মেটানো যায়।

    জাম শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। কারণ এতে ভিটামিন সি এবং আয়রন পাওয়া যায়। ভালো হিমোগ্লোবিনের কারণে, রক্ত আপনার অঙ্গগুলিতে আরো অক্সিজেন সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। আয়রন আপনার রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে। জাম খাওয়ার মাধ্যমে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়ার মতো রোগগুলি এড়াতে পারেন এবং এটি হজম শক্তিকে দুর্বল করে না এবং আপনার হজম শক্তিকে শক্তিশালী করতে প্রতিদিন দইয়ের সাথে জামের রস পান করা উচিত।

    ৩। ব্রণ দূর করতে কার্যকরী – ত্বকের জন্য উপকারী

    ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং জাঙ্ক ফুড খাওয়ার কারণে ব্রণ আজকাল একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রণ কমাতে জামের রস ব্যবহার করা হয়। জাম বা এর পাতার রস ত্বকে লাগালে তা ত্বকে তেল ও সিবাম এর ক্ষরণ রোধ করে। এতে ব্রণের সমস্যায় আরাম পাওয়া যায়। জামে এমন উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের বলিরেখা, ব্রণ এবং ফোঁড়ার মতো ত্বকের দাগের সমস্যা দূর করে ত্বককে সুন্দর করে।

    জামের অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট উপাদানের কারণে, আপনার ত্বক ব্রণ মুক্ত থাকে। আপনার যদি তৈলাক্ত ত্বক হয়, তবে জামের ব্যবহার এটিকে সতেজ এবং পরিষ্কার করে তুলতে পারে। জামে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়, যা ত্বককে খুব পরিষ্কার ও প্রাকৃতিক দেখায় এবং জামে কোলাজেন নামক একটি প্রোটিন পাওয়া যায়, যা ত্বককে সতেজ রাখে এবং মানুষের তাড়াতাড়ি বার্ধক্যের চিন্তাও মুক্ত করে। জামের গুঁড়া বানিয়ে মুখে লাগালে আপনার পুরানো ব্রণের দাগ মুছে যাবে এবং আপনি পেতে পারেন নতুন ও সুন্দর ত্বক।

    ৪। ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় জাম

    যাদের ডায়াবেটিসের মতো গুরুতর রোগ আছে বা যাদের অতিরিক্ত প্রস্রাব ও তৃষ্ণা আছে তাদের জাম খাওয়া উচিত, এতে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে, যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক। ডায়াবেটিস নিরাময়ে জামের পাতা ব্যবহার করা যায় এবং জাম খাওয়ার ফলে শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে। জামে ওলিয়ানোলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা সুগারকে সঠিক মাত্রায় রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি গ্রীষ্মকালে এটি প্রতিদিন খান তবে আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কম হতে পারে।

    অনেক গবেষণা পরামর্শ দেয় যে জামে হাইপোগ্লাইসেমিক উপাদান রয়েছে। এর নিয়মিত সেবন 30% পর্যন্ত রক্তে শর্করা কমাতে উপকারী প্রমাণিত হয়। জামের বীজে রয়েছে অ্যালকালয়েড যা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সহায়ক। জাম কার্নেলের গুঁড়ো সেবন ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সহায়ক। এমনকি আপনি ডায়াবেটিসের ওষুধ সেবন করলেও আপনি জাম কার্নেল পাউডার খেতে পারেন।

    ৫। জাম হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে

    জামে পটাশিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান থাকার কারণে এটি হার্টকে সুস্থ রাখে। 100 গ্রাম জামে 55mg পটাশিয়াম পাওয়া যায়, যা হার্টকে সুস্থ রাখে এবং এর সেবন রক্তচাপের মতো রোগ প্রতিরোধে খুব ভালো কাজ করে। জামে রয়েছে “ট্রাইটপেনয়েড” যা শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। জাম, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, তাই জাম হৃদরোগীদের জন্য খুব ভালো এবং আপনি উচ্চ রক্তচাপ এবং কার্ডিওভাসকুলার মতো সমস্ত রোগ এড়াতে জাম খেতে পারেন। আপনি যদি গ্রীষ্মের সময় প্রতিদিন জাম খান তবে এতে পাওয়া প্রচুর পুষ্টি আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। 

    ৬। জাম হাড়কে মজবুত রাখে

    জামে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফেকটিভ এবং অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া গুণ রয়েছে। জামে থাকা ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি এবং আয়রন হাড়কে মজবুত রাখে এবং ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

    ৭। চোখের জন্য জাম খাওয়ার উপকারিতা

    চোখ পোড়া, আর ব্যথা আজকের সময়ের বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। একটানা ইলেকট্রনিক স্ক্রিনের সামনে বসে থাকা চোখের জন্য বিপজ্জনক। শিশু হোক বা প্রাপ্তবয়স্ক, সবারই চোখের সমস্যা রয়েছে। জামে ভিটামিন সি ও আয়রন থাকায় ত্বকের পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তিও ভালো থাকে এবং দুর্বল হয়না।আজকাল দূষণের কারণে সকলেরই কাশি ও গলা ব্যথার সমস্যা দেখা দেয় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই জ্বর। এই সমস্যা গুলো যাদের দেখা যায়, সেই সমস্ত লোকেরই জাম খাওয়া উচিত কারণ জাম খাওয়ার কারণে গলা পরিষ্কার হয়।

    ৮। বিভিন্ন রোগে জামের উপকারিতা

    জাম ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। আপনি যদি গ্রীষ্মের সময় প্রতিদিন জাম খান তবে এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করবে এবং আপনাকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। জাম আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারী হতে পারে এবং আপনি যদি আপনার শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতে চান, তাহলে অবশ্যই জাম খান এবং সমস্ত সুগার রোগীদের জাম খাওয়ার পরামর্শ দিন, তারাও যেন বেশি বেশি জাম খান এতে করে তাদের সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। জাম খাওয়ার ফলে যেসকল উপকার আপনি দেখবেন তা দেখে আপনি নিশ্চয়ই অবাক হয়ে যাবেন।

    ৯। রক্ত শুদ্ধ করে 

    জাম অনেক গুণে সমৃদ্ধ একটি ফল। এটি শরীরকে বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণভাবে পরিষ্কার করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। জামের ছাল একটি রক্ত পরিশোধক যা আপনার রক্তকে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে এবং বাইরে থেকে আপনার ত্বকের যত্ন নেয়। আপনার রক্ত বিশুদ্ধ হলে আপনার মেটাবলিজম ভালো থাকে এবং আপনার ত্বক সুন্দর দেখায়। 

    ১০। জাম ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে

    জামে ক্যালরি ও ফাইবার উপাদান পাওয়া যায়। এটি আমাদের হজম শক্তিকে শক্তিশালী করতে কাজ করে। গরমে প্রতিদিন জাম খেলে ওজন অনেকাংশে কমতে পারে।

    ১১। কানের রোগে জামের উপকারিতা 

    কানের সমস্যাও আজকাল খুব সাধারণ। অনেক সময় ক্ষত বা অন্য কারণে কান থেকে পুঁজ বের হতে থাকে। এ জন্য জামের ডাল পিষে মধুতে মিশিয়ে নিন। এটি একটি উৎকৃষ্ট আয়ুর্বেদিক ওষুধ এবং এর ১-২ ফোঁটা কানে দিলে কানে ব্যথা ইত্যাদি বন্ধ হয়।

    আরো পড়ুনঃ রক্তদানের উপকারিতা ও অপকারিতা

    ১২। মুখের আলসারের জন্য জাম পাতার ব্যবহার

    পেট গরম করা, খাদ্যাভ্যাস বাড়ানো বা পরিবর্তনের কারণে প্রায়ই মানুষকে মুখের ঘা হওয়ার সমস্যায় পড়তে হয়। জাম পাতার রস দিয়ে গার্গল করলে মুখের ঘা উপশম হয়। জামের অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট প্রভাব আলসারের লালভাব এবং তাদের দ্বারা সৃষ্ট ব্যথা হ্রাস করে। এর পাশাপাশি গলা ব্যথা এবং গলার অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে জাম খুবই উপকারী। নিয়মিত 10-15 মিলি জাম ফলের রস পান করলেও গলার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়া গলাব্যথায় জাম গাছের ছালের গুঁড়া ১-২ গ্রাম খান। যেকোনো আয়ুর্বেদিক দোকানে এই পাউডার পাবেন। এই গুঁড়ো মধুর সাথে খেলে উপকার পাওয়া যায়। 

    ১৩। জাম আমাশয় থেকে মুক্তি দেয় 

    আমাশয় একটি পাকস্থলীর সমস্যা যেখানে মলের মধ্যে রক্ত থাকে। এটি একটি খুব বেদনাদায়ক সমস্যা। এর থেকে মুক্তি পেতে জাম ব্যবহার করা যেতে পারে। জামের ছালের রস বের করে ছাগলের দুধের সাথে সমপরিমাণে পান করুন। এটি আমাশয়ে উপশম দেয়। এছাড়া জাম গাছের 10 গ্রাম ছাল 500 মিলি জলে রান্না করুন। এক চতুর্থাংশ বাকি থাকলে পান করুন। এটি আমাশয়েও উপশম দেয়। এই ক্বাথ দিনে 2-3 বার 20-30 মিলি পরিমাণে পান করা উচিত। পেট সংক্রান্ত সমস্যায় এটি খুবই উপকারী। 

    ১৪। পাইলস বা পাইলস রোগে জাম উপকারী 

    পাইলস এমন একটি সমস্যা যা যে কাউকে কষ্ট দিতে পারে। মলের সঙ্গে ব্যথা ও রক্ত হলে অনেক সমস্যা হতে পারে। পাইলস হলে জাম ফুলের 20 মিলি রসে সামান্য চিনি মিশিয়ে নিন। এটি দিনে তিনবার পান করলে পাইলস থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। এর পাশাপাশি 250 মিলি গরুর দুধের সাথে 10 গ্রাম জাম পাতা মিশিয়ে পান করলেও পাইলসের সমস্যা দূর হয়। টানা সাত দিন দিনে তিনবার পান করলে পাইলসের রক্তপাত বন্ধ হয়।

    ১৫। কিডনিতে পাথরের চিকিৎসায় জাম

    কিডনিতে পাথরের সমস্যাও আজকাল খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দিতে জাম খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। কথিত আছে পাকা জাম ফল খেলে পাথর গলে যায়। জামের রসের সাথে 10 মিলি সামান্য শিলা লবণ মেশান। দিনে ২-৩ বার কয়েকদিন পান করলে মূত্রনালিতে আটকে থাকা পাথর ভেঙ্গে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসবে।

    About sohansumona000@gmail.com

    Check Also

    বিভিন্ন সংক্রমণজনিত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসায় ডক্সিক্যাপ ১০০ এর ব্যবহার ও কার্যকারিতা

    Doxicap 100 হলো ডক্সিসাইক্লিনের একটি বাণিজ্যিক নাম, যা Tetracycline শ্রেণীর একটি শক্তিশালী ব্রড-স্পেকট্রাম এন্টিবায়োটিক মেডিসিন। …

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *