মালয়েশিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়

মালয়েশিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় – প্রিয় বন্ধুরা মালয়েশিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে মালয়েশিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব পেতে চান তাহলে অবশ্যই মালয়েশিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন।

মালয়েশিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে মালয়েশিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় গুলো জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে মালয়েশিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

(toc) #title=(সুচিপত্র)

ভূমিকাঃ মালয়েশিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়

আমরা অনেকেই মালয়েশিয়ায় নাগরিকত্ব পেতে চাই। বাংলাদেশের থেকে মালয়েশিয়া উন্নত দেশ হওয়ায় এবং সেখানে অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকায় বাংলাদেশের অনেক মানুষ মালয়েশিয়াতে নাগরিক হয়ে সেখানে বসবাস করছে। আবার অনেকেই দীর্ঘদিন মালয়েশিয়াতে থেকে সেখানকার নাগরিক হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে।

কিন্তু সব থেকে বড় সমস্যা হলো তারা মালয়েশিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানে না। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা মালয়েশিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব এছাড়া মালয়েশিয়া বিজনেস ভিসা, মালয়েশিয়া ফ্রি ভিসা, মালয়েশিয়া ফ্যামিলি ভিসা, মালেশিয়া কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেব।

আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার উপায়

মালয়েশিয়া বিজনেস ভিসা

মালয়েশিয়ার সবথেকে বড় সুবিধা হল ভিসাধারী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবে। আবেদন করার জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আপনি যদি ৭৫ পয়েন্ট বা তার বেশি শতাংশ সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে আপনি সহজেই নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন।

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালটেন্ট লিমিটেড নামে একটি পরামর্শ প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ার শিক্ষিত বাঙালি, প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ বিভিন্ন ধরনের কর্মকর্তাদের ভিসা প্রসেসিং সেবা দিয়ে আসছে। ক্যাটাগরি ১ ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে একজনকে তাদের স্বাক্ষরিত সিভি, সমস্ত শিক্ষাগত সনদের কপি, কাজের অভিজ্ঞতা এবং পারিবারিক বিবরণ স্ত্রী ও সন্তান জমা দিতে হবে।

শুধুমাত্র স্নাতকরাই আবেদন করতে পারবেন। স্নাতক সার্টিফিকেটের একটি কপি জমা দিতে হবে এবং আপনাকে অবশ্যই ৬ কপি সাদা পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে। এছাড়াও, সমস্ত পাসপোর্ট পৃষ্ঠার কপি জমা দিতে হবে। স্থানীয় কমিশনারের স্বাক্ষরিত একটি ব্যক্তিগত প্রশংসাপত্র ও প্রয়োজন হবে। উপরন্তু, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট এবং স্থানীয় ফোন বিল বা বর্তমান ইউটিলিটি বিল প্রয়োজন।

একটি ব্যবসায়িক আবাসিক ভিসা পেতে একটি কোম্পানির লাইসেন্স প্রয়োজন। এই লাইসেন্স পাওয়ার জন্য, কোম্পানিকে প্রার্থীর নামে কর নিবন্ধন করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই অনুমোদিত কোম্পানির মাধ্যমে সরকারী বিভাগ থেকে স্থানীয় কোম্পানির লাইসেন্স পেতে হবে। 

মালয়েশিয়া ফ্রি ভিসা

মালয়েশিয়া থ্রি ভিসা হচ্ছে মালয়েশিয়া কোম্পানির যেকোনো প্রতিষ্ঠানের একটি লাইসেন্স এর উপর নির্ভর করে। মালয়েশিয়া মালিকানা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়া ফ্রি ভিসা স্পন্সর করেন বিভিন্ন সময়। আর এই সকল কাজগুলো হয়ে থাকে এজেন্টের মাধ্যমে। এজেন্টরা যে লোকটিকে কাজ করার জন্য মালয়েশিয়া নিয়ে যাবে তার পূর্বে তারা মালিককে জিজ্ঞাসা করে তারা সেই কোম্পানিতে কাজ করবে নাকি বাইরে কাজ করবে?

যদি মালিকপক্ষ বলে বাইরে কাজ করবে তাহলে আপনি ফ্রি ভিসার মাধ্যমে প্রমাণ দেবেন আপনার কোন মালিকানা থাকবে না। এছাড়া আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন কাজ করেন তাহলে আপনি মালিকানা ভিসায় মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

মালয়েশিয়া ফ্রি ভিসা বলে কোন ধরনের ভিসা নেই। এজেন্সি অথবা দালাল চক্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই ফ্রি ভিসায় মালয়েশিয়া যে থাকেন। তবে সেখানে গিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার শিকার হয়। ফ্রি ভিসা বের করা হয় যে কোন একটা দোকানের ওপর বা হোটেলের ওপর সোজা কথা বলতে গেলে যে কোন একটি লাইসেন্সের উপর বের করা হয়।

সেই লাইন্সেস এর মাধ্যমে দালাল চক্ররা আপনাকে একটি ভিসা তৈরি করে দেবে এবং আপনি সেই ভিসার মাধ্যমে মালয়েশিয়া চলে যেতে পারবেন। সেখানে আপনাকে যে লাইসেন্সের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেই কোম্পানি বা সে দোকানে কাজ পাবেন না। এ অবস্থায় অন্যস্থানে আপনাকে কাজ খুঁজতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ই পাসপোর্ট করার নিয়ম

মালয়েশিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়

মালয়েশিয়া স্থায়ী বসবাসের জন্য একটি পয়েন্ট ভিত্তিক সিস্টেম অফার করে। যেখানে আবেদনকারীদের অবশ্যই সম্ভব্য ১২০ এর মধ্যে কমপক্ষে ৬৫ নাম্বার পেতে হবে এবং একটি স্পন্সর থাকতে হবে। আপনার উপার্জন পয়েন্ট এর মধ্যে বেতন, বয়স, কাজের অভিজ্ঞতা ভাষার দক্ষতা এবং বিনিয়োগ এছাড়া মালয়েশিয়ায় থাকার সময় উল্লেখ করতে হবে।

আপনাকে মালয়েশিয়ার নাগরিক হতে হলে প্রকৃতিকরণ পদ্ধতিতে নাগরিকত্ব পেতে হবে। এই প্রক্রিয়ার জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে অবশ্যই ১২ বছর এর মধ্যে ১০ বছর মালয়েশিয়ায় থাকার জন্য আবেদন করতে হবে এবং মালয়েশিয়ার ভাষায় কথা বলতে হবে। মালয়েশিয়ার জীবন যাপন বাংলাদেশের জীবন যাত্রার মানে তুলনায় অনেক ভালো।

সেখানকার জীবনযাপন ইউরোপ এর দেশগুলোর সাথে তুলনা করা যেতে পারে। বাংলাদেশের থেকে শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করা যায় এখানে। মালয়েশিয়া মিশ্র জাতি গোষ্ঠীর দেশ। এখানে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে। বাংলাদেশ থেকে অনেক প্রবাসী প্রতিবছর মালয়েশিয়া যাচ্ছে শুধু যে কর্মী হিসেবে তা নয় বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এমনকি আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবেও যায়।

বাংলাদেশের অনেক ব্যবসায়ী রয়েছে যারা মালয়েশিয়ার বিখ্যাত শহরগুলোতে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ার সকল ধরনের সুবিধাগুলো পেতে হলে বিদেশীদের একটি টিয়ার ১ ভিসা থাকতে হবে। এখানে বিদেশিদের জন্য সেরা ভিসা হল টিয়ার ১ ভিসা। এই ধরনের ভিসা ধারণকারীরা মালয়েশিয়ার নাগরিকদের মতই সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে।

মালেশিয়া কোম্পানি ভিসা

আমরা জানি যে মালয়েশিয়া একটি উন্নত দেশ। তাই অনেক বাঙালিরা মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন ধরনের ভিসায় যেতে চায়। একটু উন্নত জীবন যাপনের আশায় সাধারণত নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে তারা অন্য দেশে পাড়ি জমায়। মালয়েশিয়া সরকার এ ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ কোম্পানি ভিসাতে মালয়েশিয়া যেতে চায়। এর মূল কারণ হলো বেতনের পরিমাণ বেশি থাকে কোম্পানি ভিসাতে।

কোম্পানি ভিসাতে যেতে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়ে থাকে। যদিও বা এখানে খরচের পরিমাণ বেশি হয় তবুও বেতন বেশি থাকার কারণে মানুষ যেতে আগ্রহী। কেননা বেতন ভালো থাকলে টাকা নিজের ঘরে আনতে খুব একটা সময় লাগে না। তবে বেতনের পরিমাণ যদি কম থাকে তাহলে দ্রুত উন্নতি করা খুব কঠিন।

মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসার দাম কত

যেহেতু আপনি মালেশিয়ায় কোম্পানি ভিসায় যেতে চান তাই আপনার খরচ হবে ৬ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা। এখানে আপনার ভিসা বের করতে খরচ পড়বে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। এছাড়া অন্যান্য সকল খরচ মিলিয়ে আপনার খরচ হবে ৬ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা। আপনার কোম্পানির ধরন অনুসারে টাকার পরিমাণ কিছুটা কম বেশি হয়ে থাকে।

তবে সময় সাপেক্ষে এই টাকার মান কিছুটা কম বেশি হতে পারে। কেননা সময়ের সাথে সাথে জিনিসপত্রের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। এ ছাড়া আপনি যদি ফ্যাক্টরি ভিসাতে মালয়েশিয়া যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা।

আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট এর ভুল সংশোধন করার নিয়ম

শেষ কথাঃ মালয়েশিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরামালেশিয়া কোম্পানি ভিসা, মালয়েশিয়া ফ্রি ভিসা, মালয়েশিয়া বিজনেস ভিসা, মালয়েশিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

About sohansumona000@gmail.com

Check Also

ট্রাফিক আইন জরিমানা মোটরসাইকেল ২০২৫: জেনে নিন সব কিছু

বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশ সরকার নতুন ট্রাফিক আইন প্রবর্তন করেছেন। বিশেষ করে যারা ট্রাফিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *