রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি

রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি – আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি নিয়ে। রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি কোথায় অবস্থিত তা নিয়ে বিস্তারিত বলা হবে আজকের এই পোস্টে। তাহলে চলুন জেনে নিন রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি কোথায়?

সূচিপত্রঃ রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি

ভূমিকাঃ রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি

কিছু বছর আগে রোমানিয়ায় যাওয়ার জন্য ইন্ডিয়া থেকে সরাসরি ভিসার জন্য আবেদন করতে হতো। এক্ষেত্রে করোনা মহামারীর পর থেকে দিন দিন ভিসা আবেদনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে সাময়িকভাবে বি এম আই টি ভবনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

তবে এটি সাময়িকভাবে এখানে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে এখন পর্যন্ত পার্মানেন্টলি এর কোন সমাধান পাওয়া যায়নি তবে যতদিন না পর্যন্ত ফাইনাল ডিসিশন হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত বিএমআইটি ভবনেই রোমানিয়া ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

তাই আমরা আজকের এই পোস্টে জানবো বাংলাদেশের কোথায় কোথায় রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি। আমরা বাংলাদেশিরা সবাই রোমানিয়া যাওয়ার জন্য রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি খুজে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলে রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আপনারা যারা রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা জানতে চান। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়বেন। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি – বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি ২০২৩

রোমানিয়া দেশটি কেমন?

রোমানিয়া একটি দক্ষিণপূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। রাজধানীর নাম বুখারেস্ট। রোমানিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সপ্তম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ। রোমানিয়ার উত্তর-পূর্বের ইউক্রেন ও মলদোভা, পশ্চিমে হাঙ্গেরি এবং সার্বিয়া দক্ষিণে বুলগেরিয়া ও দানিউব নদী রয়েছে।

এটি একটি খুব সুন্দরতম দেশ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতম দেশ। এই দেশটিতে আমাদের বাংলাদেশ থেকে প্রায় শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কারণ এ দেশটিতে শ্রমিকদের যথেষ্ট পরিমাণ বেতন দেওয়া হয়। এজন্যই অনেকেই এই দৃষ্টিতে কাজ করতে আগ্রহী থাকে।

স্বাধীনতার পূর্বে এটি ওসমানীয় সাম্রাজ্য অংশ ছিল। ২০২৪ সাল হতে ন্যাটোর সদস্য এবং খুব দ্রুত ইউরোপীয় ইউনিয়নের যোগ দিতে যাচ্ছে রোমানিয়া। এর আয়তন হলো ২৩৮.৪০০ বর্গ কিলোমিটার। রোমানিয়ার জনসংখ্যার এক কোটি ৯০ লাখের বেশি।

আরো পড়ুনঃ সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৩

রোমানিয়া ভিসার খরচ কত টাকা

রোমানিয়া একটি স্বপ্নের দেশ। যে কেউ রোমানিয়াতে যেতে পারেনা। কারণ এই দেশটিতে কর্মীর চাহিদা অনেক বেশি এবং যথেষ্ট পরিমাণ এদেরকে বেতন দেয়া হয়। তাই এই দেশটিতে সবাই কাজ করতে চায়। আপনি যদি প্রমাণ নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে আগে ভিসা করতে হবে।

কিন্তু রোমানিয়া যাওয়াই ভিসা করতে কত টাকা খরচ হয় আমরা সেটাই জানিনা। তাই আমরা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জানবো রোমানিয়া ভিসা খরচ কত টাকা। তাহলে চলুন আমরা জেনে নিই রোমানিয়া ভিসা খরচ কত টাকা।

আট থেকে নয় লাখ টাকা মোট খরচ হতে পারে। এটি শুধু একটি ধারণা দেওয়া হল। এর চেয়ে কম বা বেশিও হতে পারে। কারণ এটা কাস্টমারের সাথে যুক্তির ধরন অনুযায়ী অন্যান্য খরচ ভিত্তি করে সময় সময় পরিবর্তন করা হয়।

এর মধ্যে থাকছেও ওয়ার্ক মিট ভিসা, ম্যানপাওয়ার এয়ার টিকেট। তাই এর জন্য কাস্টমারকে ইন্ডিয়ায় যেতে হবে না। এবং আমরা এটাও জানবো রোমানিয়া ভিসা পেতে কত দিন সময় লাগবে। রোমানিয়া জব ভিসা পেতে সর্বোচ্চ তিন থেকে চার মাস লাগতে পারবে।

রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি

আমাদেরকে আগে রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সির জন্য ইন্ডিয়াতে যাওয়া লাগতো। এখন আমরা বাংলাদেশে ই রোমানিয় ভিসা প্রসেসিং এজেন্সির কাছে যেতে পারবো। বর্তমানে ঢাকাতে রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি রয়েছে।

তবে এক্ষেত্রে কিছু এজেন্সি রয়েছে এই সমস্ত এজেন্সি রোমানিয়া নিয়োগকর্তাদের থেকে অ্যাপ্রভাল নিয়ে আসে বাংলাদেশী প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। অ্যাপ্রুভাল নেওয়ার পরে এসে সমস্ত এজেন্সি রোমানিয়াতে কাজের ভিসা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

এক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্সি কে বিশ্বাস করা যাবে না। কারণ এরকম প্রতারক এজেন্সি অনেক জায়গায় রয়েছে। তাদের লাইসেন্স নাম্বারসহ আর এল নাম্বার ফলো করতে হবে যদি এগুলো থাকে তাহলে সে সমস্ত এজেন্সির মাধ্যমে রোমানিয়াতে যাওয়া যাবে।

তাছাড়া সরাসরি আপনার যদি রোমানিয়া ভিসা সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানার প্রয়োজন হয় অথবা রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে বি এম আই টি ভবনের মাধ্যমে সরাসরি আপনার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ নতুন নিয়মে সৌদি ভিসা চেক

রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট

রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে আবেদন করতে হয় সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব এখন। রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট সাবমিশন নিয়ে অনেকের নানা টেনশন থাকে। রোমানিয়া সাব মেশিন থেকে শুরু করে ভিসা পাওয়া পর্যন্ত কিভাবে কোথায় কি প্রসেস এর মাধ্যমে যায় আপনার ফাইল সেটা আলোচনা করা হবে।

রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট আবেদনের জন্য যা যা লাগবে

১। ভেলিড পাসপোর্ট মিনিমাম এক বছর মেয়াদ থাকা লাগবে

২। একটি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর ছবি

৩। আপনার পুলিশ রিপোর্ট অবশ্যই মেয়াদ থাকা যায়

প্রথমে আপনার এগুলো লাগে সাধারণভাবে এগুলোর স্ক্যান কপি করে দিলে হবে। কিছু কিছু কোম্পানি পুলিশ রিপোর্ট এর মূল কপি চাই। তবে বেশিরভাগ কোম্পানি স্ক্যান কপি দিয়ে কাজ করে।

আপনার ফাইল রোমানিয়াতে যাওয়ার পর সে টাকায় রোমানিয়ায় ভাষায় ট্রান্সলেশন করা হয়। এবং নোটারি করতে হয় যার অন্তত সাত থেকে দশ দিন সময় নেয়। এরপর আপনার ফাইল রোমানীয়ান ইমিগ্রেশন এর জমা করানো হয়।

অনেকেই ভেবে থাকেন যেদিন ফাইল দিছেন সেদিন থেকেই গোনা শুরু করে এটা কাজের জন্য মোটেই ভালো দিক না অনেক কোম্পানি তাদের ভ্যাকেন্সি ফিলাপ করার পর সবগুলো একসাথে জমা করে।

শেষ কথাঃ রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি

আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি নিয়ে। আশা করি আপনারা রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি নিয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। রোমানিয়া যাওয়ার বেশি খরচ হলে আমাদের সাহায্য নিতে পারে।

আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি এখনো সম্পূর্ণ পড়েননি। তারা আবারে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ প্রথম থেকে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনারা যারা রোমানিয়া যেতে ইচ্ছুক তারা এই ওয়েবসাইট থেকে রোমানিয়া যাওয়ার উপায় নিয়ে আর্টিকেল লেখা আছে।

About sohansumona000@gmail.com

Check Also

সুপারক্রিট সিমেন্ট দাম ২০২৫

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আশাকরি আপনারা সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। আজকের এই পোস্টটি থেকে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *